বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে খোলা হয়েছে মার্কেটগুলো। আজ সকাল থেকেই কিছু্টা স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করে মার্কেটের দোকানগুলো খুলা হয়। আজ ১০ মে দোকান খোলার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। তবে কিছু স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয় থাকলেও অন্য স্থানে তার দেখা মিলেনি।
শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই এসব মার্কেটগুলো খুলতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের নজরে আনতে করা হচ্ছে আকর্ষনীয় ডিসপ্লে। কয়েকটি মার্কেটের প্রবেশ পথগুলোতে তৈরি করা হচ্ছে সুরক্ষা টানেল। আবার কোথাও করা হচ্ছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। শহরের চাষাড়া বেইলী টাওয়ার, মার্ক টাওয়ার, হক প্লাজা, নিউ সমবায় মার্কেট, লুৎফা টাওয়ার, সায়েম প্লাজা, ডিআইটির মার্কেটগুলোর দোকানগুলোতে ক্রেতাদের দেখা মিলে চোখে পরার মত। তবে কিছু স্থানে আবার ক্রেতাদের তেমন সমাগম দেখা যায়নি।বড় বড় মার্কেটগুলোতে সুরক্ষা টানেল বসালেও ছোট দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ চালানো অসম্ভব হয়ে পরেছে। দোকানগুলোর জায়াগা কম থাকায় দূরত্ব বজায় রাখা ব্যবস্থা রাখা সম্ভব নয়। আবার অনেক ক্রেতা বাচ্চাদের সাথে আনা নিষেধ থাকলেও তারা তাদের বাচ্চাদের সাথে নিয়ে মার্কেটে চলে আসছেন। এতে করে মারাত্মক ঝুকিতে পরারা সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াহিয়া আলম উচ্ছ্বাস জানান, আমরা ইতোমধ্যেই মার্কেটগুলোর সামনে সুরক্ষা ব্যবস্থা করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা দোকানগুলো খুলেছি। ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই্ ব্যবসা পরিচালনা করতে আমরা কাজ করছি। প্রথম দিন অনুযায়ী ক্রেতাদের ভাল সমাগম ছিল।
পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ ঘনবসতিপূর্ন এলাকা এখানে বহু লোকের বসবাস। এমনিতেই গার্মেন্টস সহ কারাখানা খোলা হয়েছে। এর মধ্যে আজ থেকে দোকানপাট ও মার্কেট খোলা হয়েছে যার কারনে লোক সমাগম বেশী। আমরা যতটুকু পারচ্ছি দায়িত্ব পালন করছি।
করোনার এপিসেন্টার নারায়ণগঞ্জে দোকানপাটগুলোতে আরো বেশী সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করন ও পুলিশের তৎপরতা প্রয়োজন। না হলে সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নগরবাসী।