বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অদ্য ১৬,অক্টোবর শনিবার নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০ঘটিকায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, বান্দরবনসহ সারাদেশে হিন্দু পূজামন্ডপে হামলা,ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ, নোয়াখালী ইস্কন মন্দিরে হামলা ও হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনামলে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সবাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্রসরকার এর সভাপতিত্ত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ হংস কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম না,গঞ্জ জেলা সভাপতি এড. মৃনাল কান্তি দত্ত বাপ্পি, সাঃ সম্পাদক রাম চন্দ্র চক্রবর্তী ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রতন দাস,বাসুদেব দাস, শম্ভ নাথ সাহা, প্রদীপ সাহা, দপ্তর সম্পাদক গোপাল চন্দ্র মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রাধারানী দাস। আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দিপংকর সাহা(নয়ন), সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন দাস, হিন্দু ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রেীয় কমিটির সহ-সভাপতি রাজীব দাস,না,গঞ্জ জেলা আহ্ব্বায়ক পার্থ সারথী দাস,সদস্য সচিব শাওন সূত্রধরসহ হিন্দু ফোরাম,হিন্দু যুব ফোরাম,হিন্দু ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয়,জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন কুমিল্লা,চাঁদপুর,চট্রগ্রাম.নোয়াখালী,কক্সবাজার,বান্দরবনসহ সারাদেশে হিন্দু পূজামন্ডপে হামলা,ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ, নোয়াখালী ইস্কন মন্দিরে হামলা ও হিন্দু নির্যাতন চালানো হচ্ছে। কিন্তু এযাবৎ এসব ঘটনার কোন বিচার হয়নি বরং সাম্প্রদায়িক এসব ঘটনাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে হিন্দু আযান দিলে গান-বাজনা বন্ধ করে দেয়, যে হিন্দু মাজার দেখলে নমস্কার করে, যে হিন্দু রোজার সময় প্রকাশ্যে খাবার খায়না, সে হিন্দু কিভাবে পবিত্র কোরআনের অমর্যাদা করতে পারে ??? তা আমার বোধগম্য হয়না। কোন সুস্থ ব্যাক্তির পক্ষে তার একটি অপকর্মের জন্য তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সাজানো গুছানো পূজামন্ডপ তচনছ হয়ে যাক তা হয়ত চাওয়া সম্ভব নয়, আমরা মনে করি একটি সাম্প্রদায়িক চক্র সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে হিন্দু সম্প্রদায়কে অপদস্থ করতে এ সকল কর্মকান্ড করছে। আর সব থেকে বড় কথা যারা এসব কাজ করে তারা কখনও কোন ধর্মের সঠিকমানুষ হতে পারেনা,তারা মানুষরূপী অমানুষ কারন কোন ধর্ম কখনোই অন্য ধর্মকে ছোট করার শিক্ষা দেয় না। তিনি এসব নেক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কুমিল্লা সহ সারাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো দ্রুত তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা গুলির জন্য বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও সমাজের বিশিষ্ট জনেরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছে কিন্তু আজও তার কোনো সুরাহা মিলেনি, তাই আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এসকল সমস্যার সমাধান চাই।
সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামন্ডপ ও প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়গুলি সরকার দ্রূত আমলে নিয়ে অত্যান্ত গুরুত্ত্বের সাথে বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধনে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান অন্যন্য নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন সারাদেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতন ঘটে চলছে।নির্যাতনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা হওয়া সত্বেও নির্যাতন বন্ধহয়নি।আমরা এদেশের নাগরিক , আমাদের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন দাবী দাওয়া পূরণ করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে তারা অশাবাদ ব্যাক্ত করেন ।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকান্ড বন্ধে সরকার কঠোর ব্যাবস্থা না নিলে হিন্দু সম্প্রদায় তা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম সহ তার সমমনা হিন্দু সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।