বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী আমেজে সরব হয়ে উঠতে শুরু করেছে ২১নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। নিয়মানুসারে চলতি বছরের নভেম্বরে তফসিল ও ডিসেম্বরে নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ২১নং ওয়ার্ডে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আলী আজহার তৌফিক হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে একজন। ভোটারদের অনেকেই মনে করেন যদি শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড হয় তাহলে ইঞ্জিনিয়ার তৌফিককে ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত করলে সমাজ শিক্ষিত প্রতিনিধি পাবে। আলী আজহার তৌফিক সোনাকান্দা ঐতিহ্যবাহী সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। শিক্ষিত,মার্জিত,মিষ্টভাষী একজন লোক। নির্বাচিত হলে এলাকার কাজ হবে। ছোটবেলা থেকেই তিনি সমাজসেবামূলক কর্ম-কান্ডে পরিপক্ক। পারিবারিক ঐতিহ্য,রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের ক্ষেত্রে আলী আজহার তৈফিক গুনীজন তথা স্বনামধন্য পরিবারের একজন সদস্য। তার পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সমাজ সেবক মহান ভাষা সৈনিক আলহাজ¦ আলী আসগর । তার চাচা ভাষা সৈনিক মরহুম হাসান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও মাওলানা ভাষানীর অত্যন্ত আস্থাভাজন কর্মী। আলী আজহার তৈফিক ২১নং ওয়ার্ডের অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে চান। এলাকাবাসীর সুখে-দুঃখের সাথী হয়ে সর্ব সময় কাজ করে যেতে চান। তিনি বিভিন্ন সামজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিমিত্তেই তিনি এবারের নির্বাচনে জনগনের ম্যান্ডেড পেতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তিনি নারায়নগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আজীবন সদস্য,রহমতউল্লাহ মুসলিম ইনষ্টিটিটের আজীবন সদস্য,নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য,জেলা যুবলীগের কার্য্যকরী সদস্য,বন্দর উপজেলা ক্রীড়া কল্যান সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক। গতবারের চেয়ে এবারের সিটি নির্বাচনে উৎসবের আমেজ অনেকটাই বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভোটারদের অনেকেই। খোজঁ নিয়ে জানা যায়,প্রার্থীরা নিজেদের ইমেজে নির্বাচন করলেও তাদের প্রত্যেকেরই একটি দলীয় সমর্থন আছে। ২১নং ওয়ার্ড সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলী আজহার তৈফিক আওয়ামী পরিবারের অন্যতম সদস্য। তিনি ৩০টি রাষ্ট্র ভ্রমন করেছেন। পরিবারের প্রায় সবাই উচ্চ শিক্ষিত ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা। তার পিতা আলী আসগর ও মরহুম হাসান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ভোটারদের উদ্দেশ্যে তৌফিক বলেন, আমাকে যদি আপনারা নির্বাচিত করতে পারেন সর্ব প্রথমেই আমি শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নমুলক কাজকে প্রধান্য দিব। রুপালীগেইট এলাকায় কোন স্বাস্থ্য সেবা নেই,এখানে একটা স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স প্রয়োজন। অনেক অসহায়,গরিব লোকেরা টাকার জন্য সঠিক ভাবে শিক্ষা গ্রহন করতে পারে না। আমি নোয়াদ্দায় তাদের জন্য একটা বিদ্যালয় করার ইচ্ছা পোষন করছি আর আমার ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী করারও পরিকল্পনা আছে। আসলে ইচ্ছা থাকলে শিক্ষামুলক অনেক কিছুই করা যায়। আপনি শিক্ষিত হলে আপনার পরিবার শিক্ষিত হবে,সমাজ শিক্ষিত হবে। রাস্তা-ঘাট তো অনায়াসেই হয় কিন্তু সমাজসেবামুলক কাজগুলো করতে কেউ এগিয়ে আসে না। বন্দরে অনেক অসহায় বৃদ্ধা আছে যাদের দেখার কেউ নেউ। আমি তাদের জন্য একটা বৃদ্ধাশ্রম করতে চাই। অনেক জনপ্রতিনিধিই নির্বাচনের পূর্বে অনেক আশ^্যাসই দেয় কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কথা রাখেনা আমি তাদের দলে নেই। আমি ভাষা সৈনিক আলী আসগর মিয়ার সন্তান। আমাদের পরিবারের একটাই ধর্ম নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। সমাজসেবা মুলক কাজ করাটাই আমাদের নেশা। পরিশেষে তিনি ২১নং ওয়ার্ডের ভোটারদের অনুরুধ জানান নিষ্ঠাবান,শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থীকে আপনারা নির্বাচিত করবেন,কোন প্রভাবশালী অসাধু লোককে নয়। অর্থের বিনিময়ে আপনারা আপনাদের ঈমান নিলামে তুলবেন না। সঠিক লোককেই আপনারা মনোনীত করবেন।