বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে তিনদিন ব্যাপী ডিজিটাল মেলা-২০১৮ উদ্বোধনী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টায় ইসদাইর ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই ডিজিটাল মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় এবছর মোট ৭১টি স্টল রয়েছে।
এসময় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. হোসনে আরা বেগম বাবলী বলেছেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল যাত্রার ঘোষণা দিলেন, সেই খবরে অনেকেই হেসেছিল। এখন সেটা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। অনেকেই আছে ডিজিটাল উন্নয়ণ উপলব্ধি করেও তারা এর বিরোধ মনোভাব পোষণ করছে। ডিজিটাল সেবা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির জন্য নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই সেবা পাবে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটালাইজেশনের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এর অপব্যবহার করে কোন সন্তান যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মনোভাবের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের এসকল সেবা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের মুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসীমউদ্দিন হায়দার বলেন, সরকারের স্বপ্ন ছিল সরকারি সেবাগুলো জনগণের দারগোড়ায় পৌছে দেয়া। সরকার সেটা করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই লক্ষ্যেই এই ডিজিটাল মেলা। এই মেলার মাধ্যমে ঘরে বসেই মানুষ যে সকল ধরণের সেবা গ্রহণ করতে পারছে সেই বিষয়ে অবহিত করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিঁনি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার যে ভিশন ঘোষণা করেছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা সেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে যাবো ইনশাহ আল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা. মোঃ এহসানুল হক বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নমূলক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বুনেছিল তা এখন অনেকটাই বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন উন্নত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশেরও নাম থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেন, আমরা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে করে বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে গুণীজনদের স্মরণ করছে, আমাদের কাজের জন্য আগামী প্রজন্ম ঠিক একই ভাবে আমাদের কথা স্মরণ করবে। আমাদের কাজ হচ্ছে সরকার এবং জনগণের মধ্যে একটি উন্নয়ণের সেতুবন্ধন তৈরি করা। এই ডিজিটাল মেলা তারই একটি অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র একটি দেশে বর্তমানে ১৬ কোটি মানুষের যেই বসবাস এটিই আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। উন্নত দেশগুলোর মতো আমরাও যদি দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারি, তাহলে খুব শিঘ্রই আমরা এই দেশকে উন্নয়ণের শিখরে নিয়ে সারা বিশ্বে মাথা তুলে দাড়াতে পারবো।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।