বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার সবক’টি উপজেলায় ফেব্রুয়ারী হতে একযোগে শুরু হবে।
৪ ফেব্রুয়ারী শুরু হচ্ছে জেলার বন্দরে। এরই মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারী সারা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সমগ্র বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২২৩৭ জন। এর মধ্যে ভুয়া অমুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৪৫৭ জন। যার মধ্যে বন্দর উপজেলায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৯০ জন,রূপগঞ্জে ৯৫জন,সোনারগাঁও ১২০জন,আড়াই হাজারে ১০জন ও নারায়ণগঞ্জ সদরে ১৬০জন।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে প্রাপ্য বরাদ্দ অমুক্তিযোদ্ধারা লুটেপুটে খাচ্ছে। শুধু নারায়ণগঞ্জে প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ টাকার অমুক্তিযোদ্ধারা সরকারি টাকা ভোগ করছে।
প্রশাসনে কিছু লোকের নিরাবতা,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কিছু লোকের চোঁখ রাঙ্গানী,অমুক্তিযোদ্ধারা টাকার বিনিময়ে সংসদের ক্ষমতা দখলই অমুক্তিযোদ্ধারা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার বাহিরে থেকে যায়।
মুক্তিযোদ্ধারা সংসদেও ভোটের রাজনীতিতে এই ভুয়া অমুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স্বঘোষিত কমান্ডাররা ভাতার টাকা থেকে অর্ধেক ভাগ নিয়ে যায়।
বন্দর প্রসঙ্গে
বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেও ১১জন সদস্যের মধ্যে ৭জনই অমুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অভিযুক্ত। বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার,ডেপুটিং কমান্ডার তথা সহকারি কমান্ডার (দপ্তর) সহকারি কমান্ডার(ত্রান), সদস্য ২ এর বিরুদ্ধে অমুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ রয়েছে।
সহকারি কমান্ডার(সাংগঠনিক) নবীগঞ্জ ইউনিয়নে ৯জন অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করেছে। এ ৯জন ১৯৭১ সালে রাজাকারের তালিকায় আনছার হিসেবে কর্মরত ছিল বলে অনুসন্ধানে দেখা যায়। সম্প্রতি ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বন্দর থানাধীন ধামগড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ আলী আজগর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরিত অভিযোগ থেকে ভূয়া অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাটির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
সরকারের গৃহায়ন কর্মসূচিতে এই ৯জনের মধ্যে সুনিদিষ্ট রাজাকার মোহাম্মদ হরমুজ আলী পিতা মৃত: আসাদ আলীকে সাংগঠনিক কমান্ডার ১০ লক্ষ টাকা গ্রহয়ন প্রকল্পের জন্য সুপারিশ করে বরাদ্দ নিয়ে দিয়েছে।
১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান গর্ভনরের মন্ত্রী সভার সদস্য (কেএসপি) সোলায়মানের (এআরএস) রাশেদুল করিমকে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান করে দেয়। এছাড়াও রয়েছে রহমতউল্লা,রশিদ মৃধা,মেজবাউর রহমান,মিজান,মাজেদ,খোরশেদ ও রিয়াদ।
এছাড়া অমুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আছেন মিসেস মুক্তা বেগম পিতা মৃত আজিজ সরদার একরামপুর। গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতে গিয়ে কাইকারটেক এলাকায় ধরা পরে এবং জীবন ভিক্ষা পেয়ে এখন মুক্তিযোদ্ধা তাকে সহযোগিতা করছে। বন্দরে নাট্যকার ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সহকারি কমান্ডার ক্রীড়া সাংস্কৃতিক পদে দায়িত্বপাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া কাউয়ুম, মকবুল, লিয়াকত নামের ব্যাক্তিদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তভূক্ত করার দায়িত্ব পালনের কৃতিত্বের দাবি করেন।
এছাড়া আগরতলার মেলাঘর প্রশিক্ষন ক্যাম্পে গুপ্তচর হিসেবে যাদের আটক করেছিল সেই আজিজুল ইসলাম আজীম ও জসীম আহমেদ তোতা এখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। তাদের সাথে যারা ছিল তারা আগরতলা থেকে পালিয়ে দেশে চলে আসে তারাও আজকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়।
আওয়ামীলীগ নেতা ডা: আনিসুজ্জামানের প্রান ভিক্ষা কাগজের স্বাক্ষর করে প্রানে বেঁচে যায় এবং তারা (এসএমএ) দিয়ে ২৫ ডিসেম্বর ছবি তুলে আজীম ও তোতা মুক্তিযোদ্ধা বনে যায়।
বর্তমান বন্দর উপজেলা কমান্ডের দূর্নীতি, স্বজন প্রীতি,এমপি সেলিম ওসমানের অনুদান ঠিক মত বিতরনে অনিয়ম এবং অমুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা থেকে মাসোয়ারা খাওয়ার স্কেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, বন্দর কমান্ডার থেকে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি থেকে কোন প্রতিনিধি রাখার আগ্রহ দেখায় নাই।
বন্দর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই এর দিনে গোলমাল করে সরকারি কর্মসূচি যাতে পন্ড না করতে পারে এবং ভূয়ারা যাতে সত্যিকার অর্থে বাদ পড়ে কলংকিত ইতিহাস যাতে ধুয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে যায় তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করি।
ভাতা প্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধার তালিকা বন্দর উপজেলা লক্ষারচর এলাকার মৃত মো: রিয়াছত উল্ল্যাাহ গেজেট(৪১০) মো: জালাল উদ্দিন(৪০৮),মো: আলী হোসেন(৪০৪),মো: মহিউদ্দিন পাগল(৪০৯),মো: শাহাবুদ্দিন(৪১১),মো: জিয়াবুল হোসেন(৪৭১), নুরবাগ এলাকার মো: জসীম উদ্দিন কবির (২৩৮),১৪২ উইলসন রোড আব্দুল বাছেদ(৪৩১),মো: আব্দুল গফুর খান(২৩৯),মো: ই¯্রাফিল কাজী(২৫৬),মো: আশরাফউদ্দিন খান(৩৬০),মিসেস মুক্তা হোসেন(৪১৩),ইসলামপুর এলাকার মো: মোদাব্বের হোসেন(৪০২),মৃত মো: শহিদুল্লাহ(৪৭২),মৃত আলী আকবর(৪৭৫),মৃত মো: আওলাদ হোসেন(৪৭৪),এইচএমসেন রোড মো: নুরুল হক পন্ডিত(২৫৯),মো: আলী(২৬৫),মৃত গিয়াস উদ্দিন(২৬৭),মো: এফ কে সিদ্দিক স্বপন(৪৬৯),চরঘারমোড়া এলাকার মৃত মো: কবির হোসেন(৪৭৬),দাশেরগাঁও এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম(৪২০),১০ এল,সি রোড মদনগঞ্জ এলাকার মো: আজহার উদ্দিন(১৭০৫),লক্ষনখোলা এলাকার মো: হরমুজ(৩৪৫),আব্দুল রশিদ মৃধা(৩৫৩),আব্দুল মাজেদ(৩৫৫),মৃত মো: জাফরউল্লাহ সাউদ(২৩০),দক্ষিন লক্ষণখোলা এলাকার মো: মিজানুর রহমান(৩৪৭),বেজেরগাঁও এলাকার মো: আলী(২৯৫),(৪০৫),৯ এম,এম,ঘোষাল রোড মোহাম্মদ আলী মোল্লা(৪০৬),আদমপুর এলাকার মো: হানিফ(৩৮৭),মৃত হাজী আইয়ুম আলী(৩৮৬),বরুন্দি এলাকার মো: আলফাজ উদ্দিন(১৬৪৫),নয়নাগর এলাকার মো: ফিরুজ মিয়া(২৭৮),কল্যান্দি এলাকার মো: শহিদউল্লাহ সরকার(২৭৯),মো: আনোয়ার হোসেন(৪৪৫),নিশং এলাকার উলফত আলী( ৪৪০),মুকফুলদী এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক(৪৪৩),ঘাড়মোড়া এলাকার মো: জসীম উদ্দিন(২৭৫),তাজুল ইসলাম(৪৪৪),আমানউল্লাহ(৪৫২),সাবদী এলাকার মো: আলী(৩৮০),দিঘলদী এলাকার আজিজ(৩৮৯),নরপদী এলাকার নিজাম উদ্দিন(৩৮২),শুভকরদী এলাকার মো: আনিছ উদ্দিন(৩৮৪),বরকত উল্লাহ(১৬২৭),মো: আবুল কালাম(১৬২৮),গুল মোহাম্মদ(১৬৩০),কলাগাছিয়া এলাকার বাদল আহম্মদ(১৬২৯),ভদ্রসন এলাকার মো: হাসমত আলী(১৬৩৩),মুরাদপুর এলাকার মো: সাইফ উদ্দিন ভূইয়া(৩৬৭),হাজরাদী এলাকার মোহাম্মদ হোসেন(২৫০),মিনার বাড়ি এলাকার আবুল হাসেম(৪৫৯),নবীগঞ্জ এলাকার মো: সাফউদ্দিন ভূইয়া(৩০৪),মো: লিয়াকত আলী(৪৩০),আব্দুল বাতেন(৪২৮),মো: রাসেদুল কবির(৪৭৯),নোয়াদ্দা এলাকার মো: মকবুল হোসেন(৩৯৪),হাজী আকিমদ্দিন(৪৬৬),স্বল্পেরচক এলাকার আব্দুর রহমান(৩৯৬),(৪০১),মনির হোসেন(৪৭০),ফরাজীকান্দা এলাকার আলী আক্কাছ মীর(৪৭৮),মদনগঞ্জ এলাকার মনিরুল ইসলাম(৪৭৩),৭টি হোসেন রোড এলাকার মো: আলাউদ্দিন(১৬৩২),কদমরসুর এলাকার মাহফুজুর রহমান(২০১৪৮),১১৪ জিএ রোড ধামগড় এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন(১৬৭৬),নাসির উদ্দিন(১৬৪৬),জাঙ্গাল বাড়পাড়া এলাকার আব্দুল মালেক খন্দকার(৩৪০),মো: আয়নুল হক(৩৪১),জাঙ্গাল এলাকার মো: রূপচাঁন(৩৪৩),গকুল দাশের বাগ মনারবাড়ি এলাকার মো: সামির আলী(৪১৮),মো: আব্দুল লতিফ(২৮৯) প্রমূখ।