বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
দেশে ফিরে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও শহরের হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ খেয়াঘাট ও খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এ সময় তিনি নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে দুর্ভোগ এবং কিছু অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন তিনি। তবে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের ব্যাপারে মাঝি এবং যাত্রী উভয় পক্ষের দোষ এবং সচেতনার অভাব রয়েছে বলে তাঁর কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন মাঝি এবং উপস্থিত সাধারণ যাত্রীরা। অপরদিকে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তেমন কোন অনিময় চোখে পড়েনি। তবে হাসপাতালে শূণ্যপদে যোগদান করা চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে ভবিষ্যতে হাসপাতালের চিকিৎসার মান আরো উন্নত করার ব্যাপার বেশ আশাবাদী জেলা স্বাস্থ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
বুধবার ২৫ এপ্রিল দুপুরে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট এবং খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল সহ অন্যান্যরা।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে গিয়ে বেশ কিছু সময় সাধারণ যাত্রী এবং মাঝিদের সাথে কথা বলেন। এ সময় ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের ব্যাপারে তাদের দোষ অকপটে স্বীকার করেন। অপরদিকে যাত্রীরাও স্বীকার করেন যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার ব্যাপারে তারা নিজেরাই অসচেতন। অনেক সময় তারা সময় বাঁচাতে পরবর্তী ট্রলারের জন্য অপেক্ষা না করে যাত্রী বোঝাই ট্রলারেই উঠে পড়েন। যদি এ ব্যাপারে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে কোন ট্রলারেই মাঝিরা অতিরিক্ত যাত্রী নিতে পারবেন না।
এ সময় তিনি মাঝি ও সাধারণ যাত্রীদের কাছে আহবান করে বলেন, মাঝিরা যেন নিজেদের দায়িত্বটা সঠিক ভাবে পালন করে অতিরিক্ত যাত্রী ট্রলারে না তুলেন। আর যাত্রীরা যেন সময় বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ট্রলারে না চড়েন। এখন ঝড়ের মৌসুম চলছে। একটু অসচেতনায় ঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঝড়ের সময় মাঝিরা যেন ট্রলার না ছাড়েন এবং যাত্রীরাও যেন মাঝিদের ঝড়ের সময় ট্রলার চালাতে বাধ্য না করেন। এমন পরিস্থিতিতে উভয়কেই ঝড় থামা পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ রাখেন তিনি। এরপরেও যদি কেউ চাঁদা তুলতে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর মাঝিরা যদি কাউকে চাঁদা দেয় অথবা সঠিকভাবে জেটি মেরামত না করে তাহলে এ ব্যাপারে তিনি নিজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
অপরদিকে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে কোন সমস্যা খুঁজে পাননি। ইতোমধ্যেই ফ্যানের সমস্যা শতভাগ সমাধান করা হয়েছে। তবে বেশ কয়েকজন রোগী তাকে জানিয়েছেন অনেক সময় ফ্যানের বাতাসে তাদের ঠান্ডা কাশির সমস্যা হয়। তাই অনেক সময় তারা নিজেরাই ফ্যান বন্ধ রাখেন। তবে হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্মের ব্যাপারে রোগীরা তার কাছে সুস্পষ্ট কোন অভিযোগ করেনি।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালে শূন্য পদে যোগদান করা ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন তিনি। যোগদান করা চিকিৎসকদের সবাই ছিলেন যুবক বয়সের এবং সকলেই নারায়ণগঞ্জের সন্তান। যার ফলে ভবিষ্যতে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা আরো উন্নত হওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী সেলিম ওসমান। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।