বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশ আইন মন্ত্রণালয়ের (প্রশাসন) যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা বলেছেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট ও ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট এই দুই স্থানেই পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিব। আইন মন্ত্রীকে আইনজীবীদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে তুলে ধরবো। আইন মন্ত্রী নিজে সিদ্ধান্ত নিবেন। আমি আশা করি আইন মন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিবেন তা নারায়ণগঞ্জ আইনজীবীদের পক্ষেই আসবে ।
সোমবার দুপুর ১টায় শহরের কালিবাজার পুরান কোর্টে নব নির্মিত কোর্ট ভবন আইন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ দল পরিদর্শন করার সময় তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেন।
পরির্দশনের সময় উপস্থিত ছিলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের (প্রশাসন) যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, উপ সচিব মাহবুব আল রহমান সরকার, প্রজেক্টর ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ কামাল হোসেন, ডিপুটি ডিরেক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডি জে সৈয়দ এনায়েত হোসেন, সিজিএম শহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ হোসনে আরা বাবলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আনিছুর রহমান দিপু, সাধারন সম্পাদক এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, এড. আসাদুজজামান, এড. আলী আকবর আরো অনেকেই।
এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ দলকে আইনজীবী ভবনে জেলা আইনজীবী সমিতি পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময়ে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা আইনজীবীদের সমস্যা তুলে ধরে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণ এবং আইনজীবী ও জজ কোর্টের বিচারক কার্যক্রমের স্বার্থে দুইটি কোর্ট একই স্থানে রাখার কথা বলেন। যদি শহরের ভিতরে আদালত হয় তাহলে শহরের মানুষ তীব্র যানজটের সমূখিন হবে। এছাড়া যদি দুইটি স্থানে আদালত হয় তাহলে বিচারক ও আইনজীবীদের বিচার কাজে সমস্যার সমূখিন হতে হবে। তাই আইনজীবীদের কাজের সুবিধার্থে নারায়ণগঞ্জ আদালত অঙ্গনকে এক সাথে রাখতে আহবান জানানো হয়। সেই সাথে আইনজীবীদের কথা চিন্তা করে আইনজীবীদের সমস্যা গুলো আইন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পর্যবেক্ষণ দলকে অনুরোধ করেন।
এসময় বিকাশ কুমার সাহা বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ প্রেক্ষাপট ও আইনজীবীদের সমস্যা গুলো জানি। যদি নারায়ণগঞ্জে দুইটি স্থানে আদালত হয় তাহলে বিচারক ও আইনজীবীদের বিচার কাজের জন্য সমস্যার হবে। কিন্তু এই বিষয়ে আগে থেকেই আলোচনা করার দরকার ছিল। আমরাও চাই আদালত গুলো একই স্থানে রাখতে। তাহলে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করে বিচারক ও আইনজীবী সবার জন্যই সুবিধা হবে।