বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মসজিদে বিস্ফোরনের ঘটনায় প্রায় ৪০ জন মুসল্লি দদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টায় পশ্চিম তল্লা বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের জামাত শেষ হওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের বেশীরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। প্রায় ৯০ থেকে ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। আবার অনেকের শ্বাসনালীসহ গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশাংকাজনক। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস।
দগ্ধরা হলেন, মসজিদের ইমাম মালেক আনসারি, মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক নাদিম, মুসল্লি মো. আজিজ (৫৫), মিজান (৪০), হুমায়ুন কবির (৭০), জুলহাস (৩০), ইব্রাহিম (৪২), ইমাম হোসেন (৩০), আমজাদ হোসেন (৩৮), মোস্তফা কামাল (৩৫), ছাত্তার (৩০), আব্দুল মালেক (৬০), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), জোনায়েদ (২৮), ফরিদ (৫৫), শেখ ফরিদ (২১), শোমিক (৩৩), রিফাত (১৮), মহিউদ্দিন (১২), রাসেল (৩৪), রাশেদ (৩০), নয়ন (২৭), আব্দুল বাশার মোল্লা (৫১), বাহাউদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫), জোবায়ের (১৮), জয়নাল (৫০), মোহাম্মদ আলী (৫৫), ছাব্বির (২১), মামুন (৩০), কুদ্দুস বেপারী (৭০), লিয়াকত (১৮), জামাল (৪০), ইনু (৩৫), শাহেদ (৪০) প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লার এই মসজিদে মুসল্লিদের নামাজের পর হ্ঠ্যাৎ বিস্ফোরনে বিকট আওয়াজ হয়।এসময় মসজিদের সামনের বৈদ্যুতিক ট্রানসফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। সাথে সাথে মসজিদের ভিতর থাকা ৬ এসির বিস্ফোরন ঘটে। আগুন মসজিদের নামাজের স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। এসময় আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানে অবস্থানরত মুসল্লিরা আগুনে জ্বলসে যায়। তাদের বেশীর ভাগই আগুনে পুড়ে যায়। মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেক ও স্থানীয় ফটো সাংবাদিক নাদিম সহ ৪০ জন দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এম্বুলেন্স যোগে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের সবার অবস্থা আশাংকা জনক।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, এই মসিজদের নিচ দিয়ে গ্যাস লাইন নেওয়া হয়েছে। যার কারনে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। মসজিদের পুরো অংশে শীতাতম নিয়ন্ত্রীত হওয়ায় দরজা জানালা বন্ধ ছিল। যার কারনে গ্যাস বের হতে না পারায় গ্যাস জমে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা যাচ্ছে গ্যস জমে যাওয়ার কারনে এই বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিস্ফোরনে জন্য চার সদস্য বিষ্টিত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্য দিবসের ভিতর এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তদন্ত শেষে বিস্ফোরনের আসল সূত্রপাত বলা যাবে।
এসময় খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন ও জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।