স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর ২৩ দিনের মাথায় সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম কমছে। লিটার প্রতি পেট্রল ও অকটেনে কমছে ১০ টাকা আর ডিজেল ও কেরোসিনে কমছে ৩ টাকা করে।
রবিবার বিকালে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, আজ মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হবে নতুন মূল্য। নসরুল হামিদ জানান, সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। লিটার প্রতি পেট্রল ও অকটেন ১০ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৩ টাকা করে কমানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে লিটার প্রতি অকটেনের দাম ৯৯ টাকা, পেট্রল ৯৬ টাকা ও ডিজেল ৬৮ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতনে সব মহল থেকে দাবি উঠলেও বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছিল না। সেজন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এতদিনের ভর্তুকির লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার যুক্তি দেখানো হয়।
এরপর গত ৩১ এপ্রিল ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সেই সিদ্ধান্তের পর ৪ এপ্রিল জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অন্য সব জ্বালানি তেলের দামও ১০ দিনের মধ্যে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হল ১৯ দিন পর।
জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে পরিবহন ভাড়াও সেই হারে কমানো হবে বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা তৈরি হয়েছে; যার মধ্যে প্রায় সবই আমদানি করতে হয়।
বাংলাদেশকে এখন পেট্রোল আমদানি করতে হয় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলছেন, সরকার অকটেনও আর আমদানি করতে চায় না।