বিজয় বার্তা ২৪ ডটকম
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ১৯ জানুয়ারি সকাল থেকেই বিএনপির কার্যালয়ে চলবে কেক কাটা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠান। আর নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। আমি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। তিনি আমার তথা সবার নেতা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৮১ তম জম্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও তা পালন করবে বলে তিনি জানান। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮১ তম জম্ম বার্ষিকী পালন করতে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তিনি আমাদের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। আমরা তার জন্মদিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ নানা রকম কর্মসূচি পালন করবো। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে এই দিনটি পালন করবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির অন্যতম নেতা এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা কথায় না কাজে বিশ^াসী। আমরা কি পালন করবো তা ১৯ ফেব্রুয়ারী দেখবে সবাই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৮১ তম জম্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি তা পালন করবে। ৮১ তম জম্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটবো এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়্উার রহমানের জীবনী নিয়ে আলোচনা করবেন বলে তিনি জনান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, বাংলার রাখাল রাজা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়্উার রহমান। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৮১ তম জম্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পাশাপাশি জেলা ছাত্রদলও তা পালন করবে। জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়া গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৭ শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্ট গ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০ শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।