বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর বরিশ্যাইলা হুমায়ন বাহিনীর অন্যতম সদস্য স্বপন মিস্ত্রির দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। স্বপন মিস্ত্রি এলাকাবাসীকে কথায় কথায় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। প্রায়ই মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও মারধর করে এই স্বপন। বর্তমানে রেলওয়ে কলোনীর মসজিদের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্বপন। নারায়ণগঞ্জের বন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় তার রয়েছে বিশাল সম্পত্তি। রেলওয়ে কলোনীর সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বনে গেছেন কোটিপতি। নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে মুসলিম পরিবারের পারভিন নামে এক মহিলাকে হিন্দু বানিয়ে বিয়ে করে স্বপন। তার নাম বিক্রি করে এভাবে সে রেলওয়ে কলোনীর মসজিদের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়া তুলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। উষা রানি, মায়া রানি ও পারভিন ওরফে মুক্তা রানি নামে তিনজনকে বিয়ে করে স্বপন। প্রথম স্ত্রী উষা রানি অনেক দিন আগে মারা যায়। বর্তমানে সে পারভিন ওরফে মুক্তা ও মায়া রানিকে নিয়ে জিমখানা রেলওয়ে কলোনীতে বসবাস করছে। মুসলিম নারী হিন্দু বানিয়ে বিয়ে করায় এলাকার মানুষকে ভয় দেখায় সে। স্বপন প্রায়ই বলে বেড়ায় আমি যদি মুসলিমকে হিন্দু বানাতে পাড়ি তাহলে অনেক কিছু করতে পারি। আমি হিন্দু পোলা আমার সাথে বাড়াবাড়ি করলে খবর আছে। কখনো আবার শোনা যায় কেউ কিছু বললে নিজেকে বিদ্যুৎ বিভাগের উধ্বর্তন অফিসার দাবি করে এলাকাবাসীর বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দেয় স্বপন। সামান্য মিস্ত্রি হয়ে রাতারাতি টাকার পাহাড় করেছেন স্বপন। এদিকে বরিশ্যাইলা হুমায়ন বাহিনীর অন্য সদস্যরা জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর রাস্তার জায়গা ও রেলওয়ে স্টাফদের থাকার জায়গা দখল করে এলাকার মানুষের জনজীবন বিপন্ন করে ফেলেছে। তাদের অত্যাচারে রেলওয়ে কলোনীর এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছেনা। কোন অসুস্থ্য রোগীকে হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ্যাস্বুলেন্স কিংবা অন্য গাড়ি এখানে ঢুকতে পারেনা। জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর অংগ্নিকান্ডের মত ভয়াবহ ঘটনা ঘটলে আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য ফায়াড় সার্ভিস ঢুকতে পারবে না। তারা রেলওয়ে কলোনীর রাস্তাঘাট দখল করে এমনভাবে ঘর ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যে কোন কিছু চলাচল করা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। স্বপন মিস্ত্রি ও বরিশ্যাইলা হুমায়ণ বাহিনীর কাছ থেকে জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।