বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে জেগে উঠছে বাংলাদেশ। সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
শনিবার রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সর্বধর্মীয় প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশকে ঘিরে রংপুর বিভাগের সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন পেশার প্রায় ২০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জামায়াত-শিবির রগকাটার মাধ্যমে এদেশে জঙ্গিবাদের সূচনা করে। একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তিরাই এখন দেশে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হত্যাকাণ্ড হলেই ১০ মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইটে চলে যায়, এটা আইএস করেছে। দেশে আইএস’র কোনো অস্তিত্ব নেই। ইসলাম নিয়ে যারা খেলা করছে তাদের স্থান বাংলাদেশে নেই।
তিনি আরো বলেন, রংপুর-দিনাজপুরে যেসব জেএমবি কমান্ডার এখনো পলাতক রয়েছে তাদের অচিরেই গ্রেপ্তার করা হবে। জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিও হত্যার বিচার শুরু হয়েছে। কুনিও এদেশকে ভালোবেসে মুসলমান হয়েছিলেন। তাকে হত্যা করেছে পাষ-রা। সব হত্যার বিচার দেশের প্রচলিত আইনে হবে।
তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন গঠনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সংসদে এটি পাস করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি একেএম শহিদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে জঙ্গি দমনের ডাক দিয়েছেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ । এই সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আবুল কালাম এমপি, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি, জমিয়াতুল উলামা ইসলামের সভাপতি ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজ, দিনাজপুর ধর্ম প্রদেশের বিশপ সেবাস্টিয়ান টুডু, বাংলাদেশ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইবরাহিম খলিল রেজভি।

