বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোমিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন-২০২১-২০২৩ এর চলছে প্রার্থীদের জোর প্রচারণা। দুই বছর পর পর বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। এ বছরে নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন পদের জন্য ৫৬ টি ফরম বিক্রয় হয়েছে। বিজিএপিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের সর্বশেষ তারিখ ১৬ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টা। চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ ১৬ অক্টোবর বিকাল ৪টা। ভোট গ্রহণ হবে ৬ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। শীর্ষ কর্মকর্তা নির্বাচনের মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমার শেষ তারিখ ৮ নভেম্বর দুপুর টা পর্যন্ত। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে শীর্ষ কর্মকর্তা নির্বাচিত হবে ৮ নভেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে আপিল বোর্ডের নিকট আপত্তি দাখিলের শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আপিল বোর্ডকর্তৃক নির্বাচনী ফলাফলের আপত্তির উপর শুনানী ও সিদ্ধান্ত প্রদান ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টায়। নির্বাচনী বোর্ডকর্তৃক ফলাপল প্রকাশ ১৪ নভেম্বর রোববার বিকাল ৪টায়। বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মো. আবদুর রাজ্জাক। সদস্য হিসেবে আছেন এম. কাওছারুজ্জামান এবং মো. ইসমাইল চৌধুরী বাদল।
১ হাজার ৮০০ সদস্যের এই সংগঠনে নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে একজন সভাপতি এবং একজন প্রথম সহ-সভাপতি। তিনজন সহ-সভাপতি আর বাকিরা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবে।
জানা যায়, দুটি প্যানেল অলিখিতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করছে। সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। যদি সমঝোতা না হয় তাহলে নির্বাচন হবে। বর্তমান কমিটির দ্বিতীয় সহসভাপতি মোজাহারুল হক শহীদকে প্রবীণ ও নবীন নেতারা সমর্থন দেয়ায় তার নেতৃত্বে একটি প্যানেল কাজ করছে। অন্য একটি গ্রুপও আলাদাভাবে কাজ করছে।
এই বিষয়ে বিজিএপিএমইএ’র বর্তমান কমিটির পরিচালক ও ইনডেট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল শাহরিয়ার আহমেদ জানান, বিজিএপিএমইএ’র ইতিহাসে এই প্রথম সর্বোচ্চ প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ৫৬ টি ফরম ক্রয় করেছেন। আমি আশা করি পিছিয়ে পড়া এক্সেসরিজ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যোগ্য এবং সৎ লোকদের নিয়ে বিজিএপিএমইএ’র পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তা নির্বাচিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যারা দায়িত্বে আসবে তারা যেন এই খাতের যে অবদান তা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরে সরকারের যে সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা আদায় করে নেয়ার ভূমিকায় কাজ করে। বর্তমান কমিটি ইতিমধ্যে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা শুরু করে দিয়েছি, এটাকে আরও বেশি জোরদার করতে কাজ করবে, নতুন কমিটির কাছে সেই প্রত্যাশাই থাকবে।
শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, তৈরি পোশাক খাত যদি সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পায়, আমরা পাবো না কেন? আমরা চাই এই শিল্পটাকে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরে এই খাতের বিকাশ করা। এক্সেসরিজ শুধু তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করে না। এটা দেশের ওষুধ, খদ্য, চামড়া, আইটি শিল্পসহ আরও অনেক শিল্পকে সহযোগিতা করে আসছে। আমাদের এই খাত যত বিকশিত হবে অন্যান্য খাতও ততো সুবিধা পাবে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়বে মান। কারণ পণ্যের পাশাপাশি প্যাকেজিংও গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহক আগে প্যাকেট দেখবে, তার পর পণ্য ক্রয় করবে। প্যাকেটের লুকটা ভালো হলে গ্রাহকের আকর্ষণ বাড়ে।