নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
গণবিদ্যা নিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবার আত্মহত্যার ঘটনায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের অভিযােগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটি।
বুধবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের মন্ডলপাড়ায় গণবিদ্যা নিকেতন স্কুলের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুকুল সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখায় নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে দুইজন ছাত্রী ভর্তি হয়। তন্মধ্যে উম্মে হাবিবা রোল নম্বর-২। বার্ষিক পরীক্ষার জীববিজ্ঞান বিষয়ে নকল করার সময় কক্ষ পরিদর্শকের নিকট ধরা পড়লে কক্ষ পরিদর্শক নাসরিন সুলতান তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেন। ছাত্রীটি ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এসে বিষয়টি জানালে তিনি কক্ষ পরিদর্শক নাসরিন সুলতানাকে ডেকে পাঠান। কক্ষ পরিদর্শকের নিকট জানার পর উক্ত ছাত্রীকে ঐ দিনের পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়। ঐসময় অপর শিক্ষক কামরুল হক সিদ্দিকী ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে নকলের বিষয়টি জানতে পারেন এবং ছাত্রীর উক্ত অপরাধের কারণে তাকে একটি থাপ্পর দেন। তাৎক্ষনিক ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক উক্ত ছাত্রীকে থাপ্পর মারার কারণে শিক্ষক কামরুল হক সিদ্দিকীকে ভর্ৎসনা করেন এবং তার কর্তব্য কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ঐ সময় ভারপ্রাপ্ত সহাকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জানে আলম জানু এবং শিক্ষক প্রতিনিধি জাহান আরা বেগম। একই দিন বিকালে ছাত্রীটি বাসায় আত্মহত্যা করছে মর্মে খবর পাওয়া যায়। এঘটনায় গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ উম্মে হাবিবার বাবা হাবিবুল্লাহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হক সিদ্দিকী ও নাসরিন সুলতানাকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানা একটি মামলা রুজু করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল জাব্বার, ম্যানেজিং কমিটির দুইজন সদস্য আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও মো. জানে আলম জানুকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ মামলায় ফাঁসানোর জন্য সাংবাদিক পরিচয় দানকারী একজন ছাত্রীর বাবাকে প্ররোচিত করেন। যার অডিও রেকর্ড আমাদের হাতে আছে। এ বিষয়য়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে প্রশাসনের প্রতিটি তদন্তে আমরা সহযোগীতা করেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গণবিদ্যা উচ্চ বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের মানসিকতা নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে যার ফলশ্রুতিতে গণবিদ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্বেতপত্র প্রকাশ শিরোনামে দৈনিক ইয়াদ পত্রিকায় জঘন্য, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও সম্মানহানিকর শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর মনগড়া প্রতিবেদন সংবাদ আকারে প্রকাশ করে পরপর দুই দিন। যা আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়। তারা আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সুনাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সম্মানের কথা ভেবে আপনারা সত্যি ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবেন বলে আমরা আশাকরি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের অভিভাবক সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, জানে আলম জানু, আরজু মিয়া, শরিফ মোল্লা, সহকারী শিক্ষক আহাম্মদ হোসাইন, আব্দুল জব্বার, হাফেজ মোঃ মুইন উদ্দিন, মুজিবুর রহমান ভূইয়া, দেলোয়ার হোসেন, মাসুম মিয়া প্রমুখ।