বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লগডাউন ঘোষণা করার পর বিপাকে পড়ে যান নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তারা। তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি ভাবে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন খাদ্য সামগ্রী। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ১৭নং ওয়ার্ডে। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও ১৭ নং ওয়ার্ডের নিজ উদ্যোগে ১২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু। ওয়ার্ডবাসীর ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেন তিনি। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা ইতোমধ্যে কাউন্সিলর বাবুকে খাবারের ফেরীওয়ালা উপাধি দিয়েছেন। তবে এতে ঈর্ষন্বীত একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর বাবু। ইতোমধ্যে ১৭ নং ওয়ার্ডবাসী এই ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ওয়ার্ডবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, কাউন্সিলর বাবু ভাই সরকারী অনুদানের তুলনায় নিজের অর্থায়নে বেশী খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তিনি শুধু এই মহামারীর সময় নয় তিনি সব সময় এই ওয়ার্ডবাসীর সেবায় যথেষ্ট করেন। আর তাকে নিয়েই এমন মিথ্যা সংবাদ আমাদের জন্য কষ্টদায়ক।আমরা কাউন্সিল বাবু ভাইকে নিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কাউন্সিলর বাবু জানান, ১৭ ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়ায় ২শ জন পরিবারকে ত্রাণ দেয়ায় হয়নি দাবী করে মঙ্গলবার একটি অনলাইনে ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশ করে। অথচ ঐ ভিডিওটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। ভিডিও ধারণ করা ঐ যুবকটির ভিডিও ক্যামেরার দোকান রয়েছে। তাকে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ভিডিওটি করিয়ে তা সংবাদ আকারে প্রকাশ করে আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাল কাজ করে যদি এমন ভাবে হয়রানী করা হয় তাহলে মানুষের তো ভাল কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে যাবে। তবে আমার বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন আমি সর্বদাই আমার ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাবো। এদিকে, ভিডিও ধারণকারী ঐ যুবক তার ফেসবুক আইডীতে একটি ভিডিও বার্তা পোষ্ট করেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, তাকে ফোন দিয়ে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং পরিকল্পনাকারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ভিডিও করেছেন। এঘটনায় কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেনঅ তিনি লিখেছেন- প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী, গতকাল নারায়ণগঞ্জের কিছু অতি উৎসাহিত অনলাইন আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে তারা যে হলুদ সাংবাদিক প্রমান করেছে.. আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন আমি ১০ বছর ধরে আমার ১৭নং ওয়ার্ড এ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করে আসছি, করোনার এই মহা বিপদে ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ দেখি নাই সাধ্য মতো করার চেষ্টা করেছি ১৭নং ওয়ার্ড এ অধিক করেছি কারন এই এলাকার মানুষ আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। এলাকার কিছু ধান্দাবাদ সুদখোর দালাল রা একটি চক্র হয়ে আমার বিরুদ্ধে ভাড়া করা লোক দিয়ে টাকা ব্যবহার করে সম্মান হানির চেষ্টা করছে। আফসোস এই অর্থ টা তোমরা গরিবের পিছনে ব্যবহার করতা, বিগত ১০ বছরে আমি নিজের কষ্টের উপার্জিত কোটি কোটি টাকা আমার এলাকা বাসীর কল্যানে ব্যবহার করেছি। তোরা দালাল রা পারবি করতে, পারবি না তোদের কলিজা নাই তোরা পারবি গরিবের রক্ত চুষে খেতে ,আমি বাবু থাকতে পারবিনা জীবনেও আমার গরিবের উপর অত্যাচার করতে, তোদের মতো মানুষ রুপী দালালদের কথায় আমি পিছে সরে যাবো কিভাবে ভাবলি আর এই ছোট খাটো অনলাইন এ প্রচার করেই দমিয়ে ফেলবি। যারা কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে সাংবাদিকতা করছে তাদের বদনাম করে দেয় এই সকল অনলাইন এর সাংবাদিকেরা।
মানুষের উপকার না করতে পারলে ক্ষতি কইরেন না। একটা কথা মনে রাখবেন যারা আমার সম্মান হানীতে লিপ্ত তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আল্লাহ আমার মৃত্যুর আগেই তাদের বিচার করবেন।