বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
লকডাউনের মধ্যে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ জেলায় বেশ কিছু গার্মেন্টস (পোশাক কারখানা) খোলা হয়েছে। কারখানাগুলোতে অল্প সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করেছেন মালিকরা। শ্রমিকরাও চাকরি হারানোর ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে তাদের কর্মস্থানে যোগদান করেছেন। তবে বেশীরভাগ শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন ভাতা নিতে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বলে জানায় তারা। মার্চ মাস থেকে তারা বেতন পাননি সেই বেতন পরিশোধ না করে তাদের মালিকরা তাদের গার্মেন্টসে আসতে বলেছেন।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবীতে ও বিনা কারনে শ্রমিক ছাটাই এর প্রতিবাদে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আমেনা ফ্যাশন প্রিন্ট টেক্স নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। অবরোধের কারনে প্রায় দুই ঘন্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদের দাবির ব্যাপারে আশ্বস্ত করলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
শ্রমিকদের দাবি বিনা কারনে তাদের ছাটাই করা করছে মালিকপক্ষ। এমনিতেই লকডাউন এর কারনে কারখানা বন্ধ ছিলো তার উপরে আবার ছাটাই করা হয়েছে আমরা কি না খেয়ে মারা যাবো এমনটিই জানান তারা।
বিকেএমইএ এর সদস্য প্রতিষ্ঠানের মালিকরা দাবি করেছেন নিয়ম নীতি অনুযায়ী ও যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে পোশাক কারখানাগুলো সীমিত পরিসরে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে জেলার সীমিত পরিসরে খোলা গার্মেন্টসগুলোতে স্বাস্থ্য বিধির মানার তেমন বালাই দেখা যায়নি। নামমাত্র হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পায়ে স্প্রে করে শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করানো হচ্ছে। মালিক সংগঠনগুলো জানান, এখন সীমিত আকারে খোলা হয়েছে।শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকি ও বিক্যাশের মাধ্যমে বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে। ২ মে থেকে পোশাক কারখানাগুলো পুরোপুরি খোলা হবে। তবে দূর দূরান্ত খেকে বসবাস করা শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করেছেন বলে জানান তারা।
পন্য তৈরি থেকে শুরু করে ডেলিভারী পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শ্রমিকের হাতে ধরে করা হয়। কারখানার ভিতর শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব অনিশ্চয়তার ভিতর থেকে যাচ্ছে। পোশাক কারাখানার লক্ষাধিক শ্রমিকদের মধ্যে যদি দশ জনও করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের মিছিল দীর্ঘ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।