বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে পুনরায় প্রার্থী ঘোষনা করেছেন। তবে সেলিম ওসমান নিজের প্রার্থীতা ঘোষণার দেওয়ার জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। ওই সময়ের পূর্বে তিনি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সহ সবার সাথে আলোচনায় বসতে চান। এ জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মেয়র আইভীকে আলোচনায় বসার আহবান রেখেছেন। যদি তিনি বসতে রাজি না হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি এবং নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে স্বার্থে আগামী সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ থেকে অন্য কেউ এমপি হবে। আমি সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারে বসবো।
সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গেই কথা বলতে পেরেছি। পারি নাই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে। আমি সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে চাই। ছোট বোন তোমার বাবা আমার খুব পছন্দের মানুষ। আপনার চেয়ারে বসে কাজ করতে সমস্যা হলে আমাদের বলেন আমরা সহযোগিতা করবো।’ আমাকে অনুমতি দিয়ে দেন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কাজ করার। তারপর কিভাবে শহর পরিস্কার রাখতে হয়, কিভাবে যানজটমুক্ত রাখতে হয় করবো।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি হিসেবে ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ওই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনের সড়কে মঙ্গলবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমাকে যতই সংবর্ধনা দেন না কেন আমি ব্যর্থ। আমি এমপি হতে পারি নাই। আমি ছোট ভাই ও বোনের (শামীম ওসমান ও আইভী) ঝগড়া থামাতে পারি নাই। কারা এসব ঝগড়া করায় কারা এটা সৃষ্টি করায়। আমি দায়িত্ব দিয়েছি মোহাম্মদ আলী, এমপি বাবলী, আমিনুর রহমানের কাছেও। কিন্তু তারাও ব্যর্থ।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ৫শ শয্যায় উন্নীত হবে। এখানেই মেডিকেল কলেজ হবে। নারায়ণগঞ্জবাসী চাইলেই হবে। ইতোমধ্যে শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। সেতু না হওয়া পর্যন্ত নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ পয়েন্টে ফেরি চলবে।’
নারায়ণগঞ্জ শহরের মর্গ্যান স্কুলের ভবন ভাঙা প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, ‘মর্গ্যান স্কুলের একটি দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে কেন ভেঙে দেওয়া হলো সেটা বোধগম্য না। এ স্কুল নিয়েও রাজনীতি হচ্ছে। আগামীতে মর্গ্যান স্কুলের উন্নয়ন সবার আগে হবে।’
অনুষ্ঠানে শিল্পপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিগত দিনে যত এমপি ছিলেন তাদের সবাইকে উন্নয়নের কারণে ছাড়িয়ে গেছেন বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান। সরকারী অনুদান বাদ দিয়েই তিনি নিজের টাকা দিয়ে একের পর এক স্কুল কলেজ আর অবকাটামো উন্নয়ন করেছেন। তার উন্নয়নের সঙ্গে কারো তুলনা নাই। সে কারণে আমি জানি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এলাকার সব দলের জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর আর মেম্বাররাও চান সেলিম ওসমান যেন আগামীতে এমপি নির্বাচন করেন। সবাই এটাও চান তিনি যেন আবারো এমপি নির্বাচিত হন। আমিও সবার কাছ থেকে সে দাবী শুনতে চাই।’
চেম্বারের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের সভাপতিত্বে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, ক্রীড়া সংগঠক কুতুবউদ্দিন আকসির, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সেক্রেটারী মোহসিন মিয়া, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সেক্রেটারী হাজী ইয়াছিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, নাজমুল আলম সজল, সাইফউদ্দিন আহমেদ দুলাল, আবদুল করিম বাবু, আফজাল হোসেন, হান্নান সরকার, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ও কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু, কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, আরিফুল হাসান, সুলতানউদ্দিন নান্নু, ব্যবসায়ী এম সোলায়মান, শিরিন আক্তার, কামরুল হাসান মুন্না, আলী হোসেন আলা, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, মদনপুরের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, মুছাপুরের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মাসুম আহমেদ, দেলোয়ার প্রধান, মতিউর রহমান মতি, নওশেদ আলী, এহসান আহমেদ, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি কামরুজ্জামান বাবলু, বিএনপি নেতা ও ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, বিএনপি নেতা ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মাহমুদ, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফউদ্দিন দুলাল প্রধান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশেদ ও হোসনে আরা বেগম, নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল প্রমুখ।