বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বৃহস্পতিবার বিকাল ২ ঘটিকায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মুহাম্মাদ ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমদাদুল হক এর সঞ্চালনায় জেলা সম্মেলন ১৭ ও ভাষা শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম কাসেমী পীরে কামেল চরমোনাই। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মুহতারাম সভাপতি জি এম রুহুল আমীন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিলো জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। পাবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার ছিচল্লিশ বছরেও মানুষ তাদের স্বাধীনতার স্বাধ গ্রহণ করতে পারেনি। নেই মানুষের বাক স্বাধীনতা। নেই বিচার বিভাগের স্বধীনতা। নেই আইনের শাসন। চারিদিকে শুধু ধর্ষিতা বোনের রোনাজারী, মজলুম জনতার আর্তনাদ। সন্তান হারা মায়ের চিৎকার, মা হার সন্তানের বুকফাটা কান্না। এ অবস্থা শুধু ইসলামী মূল্যবোধ না থাকার কারণে। তাই সরকারকে বলবো, বাংলাদেশকে একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হলে অবশ্যই ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এ দেশের মানুষ ধর্মীয় পুস্তক পাঠ করবে স্বাধীন ভাবে। কিন্তু সরকার নানা অজুহাতে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে তাদেরকে জিহাদী বইসহ আটক বলে জেলখানায় পাঠায়। এটা কোন মুসলিম তো দূরের কথা কোন ন্যায় শাসকের কাজ হতে পারেনা। তিনি আরো বলেন, মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলার সংসদ ভবন, বঙ্গ ভবন, সুপ্রীমকোর্ট সহ সকল অফিস আদলতের সামনে মুক্তির ও সকল সমস্যার সমাধান আল কোরআনের ভাস্কর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সরকার তার বিদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য সেখানে গ্রীক মূর্তির ভাস্কর স্থাপন করেছেন। যা নিতান্তই দুঃখজনক। তিনি সরকাকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি অপসারণ করা না হলে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। তিনি জনতাকে ইসলাম দেশ ও মানবতার স্বার্থে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান বক্তা তার আলোচনায় বলেন, এ মাস ভাষার মাস। এ মাসের ত্যাগের বিনিময়ে মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। যার বাস্তব ফল হলো বাংলাকে স্বাধীন করা। যার পিছনে ছাত্র সমাজের ভূমিকাই ছিলো অগ্রগণ্য। তাই বাতিল সমাজ থেকে দেশ জাতি ও ইসলামকে রক্ষা করতে হলে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতি তার বক্তৃতায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করে বলেন, বাংলা ভাষা এসেছে শহীদদের তাজা রক্তের বিনিময়। কিন্তু বাংলা ভাষা আজ প্রায় নিভু নিভু। পশ্চিমা অসভ্য সংস্কৃতি হিন্দি সিরয়াল ও ইংলিশ মুভিতে গোটা দেশ আজ হিন্দি ভাষার জয়োগান। যা একান্তই পরিতাপের বিষয়। তিনি বাংলাকে সঠিক মূল্যয়ন করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সেক্রেটারি মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, ছাত্র ও যুব বিষায়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুফতি ওমর ফারুক স্বন্দীপী সাহেব, মুফতি আবু মুসা নেছারী, ইশা ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মুঃ মামুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুঃ শিব্বির আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুঃ ফারুক হোসেন অর্থ সম্পাদক মুঃ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।