বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অবশেষে আলোচিত আলীগঞ্জ গরুর হাটের দ্বিতীয় দফায় দরপত্রের আয়োজন করতে যাচ্ছে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ট্রেজারীতে জমা রাখা টেন্ডার বক্সটি উপজেলা পরিষদে এনে ইউএনও আফরোজা আকতার চৌধুরী দরপত্রদাতাদের হাতে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন। এ ব্যাপারে রোববার রাতেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বিতীয় দফায় দরপত্রের আয়োজন করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় আজ ৬ সেপ্টেম্বর দরপত্র বিক্রি এবং ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে ৩টা পর্যন্ত দরপত্র জমা এবং ৪টায় দরপত্র খোলা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আলীগঞ্জ পিডব্লিউডি মাঠে গরুর হাটের ইজারা নিয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ ও শামীম ওসমান সমর্থিত উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যন ফাতেমা মনির গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে টেন্ডারবাক্স ট্রেজারীতে পাঠিয়ে দেন ইউএনও আফরোজা আকতার। পরে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক দ্বিতীয় দফায় টেন্ডার আহবানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান বর্তমানে বিদেশে থাকায় আলীগঞ্জ হাটের বিষয়টি নিয়ে জলিতা দেখা দিয়েছে। এ হাটের হিস্যা নিয়ে কোন সমঝোতা না হলে বড়ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীসহ স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তারা আরো জানায়, বিগত ছয় বছর যাবৎ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র পেয়ে ঐতিয্যবাহী আলীগঞ্জ গরুর হাটটি সুনামের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকনেতা আলহাজ্ব কাউছার আহমেদ পলাশ দায়িত্ব পালন করে আসছেন্। আর এই হাট থেকে উপার্জিত সম্পূর্ন অর্থ তিনি আলিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, আলীগঞ্জ মাদ্রাসা মসজিদ, পিডব্লিউডি কলোনী মসজিদ সহ আলীগঞ্জের বেশ কয়েকটি মসজিদে অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বিগত দিনে আলীগঞ্জ হাটের ইজারাদার কাউসার আহমেদ পলাশের দাবী, এ হাটের লভ্যাংশ দিয়ে আলীগঞ্জ ও আশপাশের মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ চলে আসছে। গতবারও আলীগঞ্জ মসজিদ-মাদ্রাসা ছাড়াও ফতুল্লা কেন্দ্রীয় মসজিদের জন্যে ১২ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। এবারও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে এ লভ্যাংশ ব্যায় হওয়ার কথা। অথচ কতিপয় ব্যাক্তি নিজস্বার্থ হাসিলে বিপত্তি ঘটানোর চেস্টা করছে।
অপরদিকে পলাশ বিরোধী ফাতেমা মনিরের দাবী হচ্ছে, মসজিদ-মাদ্রাসার অজুহাতে পলাশ এতদিন আলীগঞ্জ হাট থেকে ফায়দা লুটে আসছে। এখন সকলের দাবী উম্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে হাটের ইজারা দেয়া হউক। স্বৈরাচারী কায়দায় কাউকে গরুর হাট করতে দেয়া হবে না।
