বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আকাশে শকুন উড়ছে। কথায় কথায় মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন, রিজভি সাহেব বলেন এটা হবে ওইটা হবে। ডা. মইন সাহেব বললেন খেলা হবে। আরে কবে খেলবেন বলেন।’
আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর)রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুনের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘আমরা তো রেডি হয়ে আছি। এই খেলা হবে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। আমরা তো খেলতে চাই। আপনারা একটু মাঠে নামলে আমরাও আমাদের শরীরটাকে একটু গরম করতে পারি। তারিখ দিন, কবে নামবেন। ঢাকা রেস্টে থাকুক, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে ঢাকায় খেলে যাবো। আমরা জানি, কখন কী করতে হয়। আপনাদের কপাল ভালো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা কথা বারবার বলেন, ধৈর্য্য ধরো। আমরা ধৈর্য্য ধরে আছি।’
এমপি শামীম ওসমান বলেন,’দেশের যুবকদের রক্ত গরম আছে কিনা, সেই এসিড টেস্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের খেলায় ওরা পাকিস্তানের পতাকা ওড়াচ্ছে। এসব এমনি এমনি হচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করবে, তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারা যেকোন মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের পিতারা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিল। সেই পতাকা আবারও খামচে ধরতে চায় একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের দোসররা। এদেরকে রুখে দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ভাস্কর রাশা, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের দৌহিত্র একে ফায়েজুল হক রাজু ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুর রহমান সোহেল।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার পর বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে মিছিল সহকারে অংশ নিতে দেখা যায়৷ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল,যুবলীগ নেতা আহাম্মেদ কাউছার মিছিলে নেতৃত্ব দেন।