বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আমাদের ডাকে কর্মী সভা হয়ে উঠে জনসভা। আহজকের কর্মী সভায় নেতাকর্মীদের বিশাল উপস্থিতি তার প্রমান। আমি রাজনীতি করে দুইবার এমপি হয়েছি ও জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। আরোও অনেক কিছুই পেয়েছি। আমাদের আগের রাজনীতির চেয়ে বর্তমান সময়ের রাজনীতি করা খুব কঠিন। আজ দন্ধের কারন দলে হাইব্রিডদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। দলের ত্যাগী কর্মীদের আমাদের সম্মান করতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের কারনে আমরা বড় নেতা হতে পারি। তাই আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে থাকবে চাই।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ এর জনসভাকে সফল করতে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে দেশ জাতি ও মানুষ ভালোবাসতে হবে । আর মানুষকে ভালবেসে রাজনীতি করলে আল্লাহ খুশি হয়। জোর জুলুম করে রাজনীতি করা যায় না। ‘পলিটিকস ইজ মেথমেটিকস’ এটি একটি অংক হিসাব করে করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। মার্কিন রাষ্ট্র তারা নিজেদের দেশের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধতা করে তারাই বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারো কাছে মাথা নত করে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। কোন অপশক্তি এদেশে অরজগতা সৃষ্টি করতে সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমার আদর্শের মা। যদি কেউ শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলে তাহলে তাকে ছাড় দিবো না। এখনো সময় আছে ক্ষমা চান। আমরা মাফ করে দিবো। কোন মাকে কটাক্ষ করে কথা বললে মা মাফ করে দিলেও ছেলেরা মায়ের কটাক্ষকারীকে ক্ষমা করবে না। তাই বলছি ক্ষমা চান। ২৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ একত্রিত হয়েছে। আর এক সাথেই থাকবে কারণ আমাদের ঈমান হলো একজন সে হলো শেখ হাসিনা। আমরা সবাই মিলে মিশে থাকতে চাই দন্ধ চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমার বয়সটা ছোট হলেও আমি ৪০ বছর যাবত রাজনীতি করছি। দুই বার এমপি হয়েছি কিন্তু শহরের উন্নয়ন করতে কোন মেয়র সুযোগ দেয়নি। যদি মেয়ররা আমাকে সুযোগ দিতো তাহলে আমি আরো উন্নয়ন করতাম। শহরের ভিতরে একটি ভালো মানের স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল নেই। এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা সুন্দর মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও ইভটিজিং মুক্ত নারায়ণগঞ্জ হিসেবে দেখতে চাই। আর নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে ।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২২-২৩ তারিখ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নিয়ে একটি আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে একটি বিশাল জনসসভা করবো। শুধু আওয়ামীলীগ নয় মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেনীর মানুষদের নিয়ে একত্রিত করে ২৯ তারিখ একটি মহা সমাবেশ হবে। এই সমাবেশে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানার সকল ইউনিটের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগ এর সকল নেতা কর্মীরা উৎসব মুখর পরিবেশের মাধ্যমে জনসভায় যোগ দান করবে। সমাবেশ যেন সু শৃঙ্খলা ভাবে হয় তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাজ করতে হবে। আপনাদের সবার সামনে সেদিন আমি কিছু বলতে চাই।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভপতি আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল, গোপিনাথ সাহা, রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, আহসান হাবীব, জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জি.এম আরাফাত, এড মাহমুদা মালা, সদস্য শিখন সরকার শিপন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি এম এ রশিদ, সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কামাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর সভাপতি নাজমুল আলম সজল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সহ সভাপতি এড আলী আকবর, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সজীব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. অধ্যাপক শিরীন বেগম, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ, কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইসলাম জয়, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন জিতু, রাকিবুল হাসান রাকিব, শফিকুল ইসলাম অয়ন, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল আলী ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।