বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গুম করার মামলা ও আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে অ্যাডিশনাল এসপি (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসআই শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন এসপি জাহেদুল আলম।
তিনি আরো জানান, তদন্তের জন্য অ্যাডিশনাল এসপি (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, সিনিয়র এএসপি সালেহউদ্দিন আহমেদ ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা পরিদর্শক ইকবাল হোসেনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক আবদুল হাইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নগরীর দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন তার বাবা। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে। ওইদিনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই ঘটনায় দুই দিন পর গ্রেফতার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে।
গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে । অথচ গত ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ ওই ছাত্রীকে। এ ঘটনায় চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেয়া জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এদিকে আসামিদের স্বজনরা বলছেন, পুলিশি হেফাজতে অমানুষিক নির্যাতনের মুখে তারা ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পুলিশ এ ঘটনা সাজিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের এসআই শামীম আল মামুন আসামির স্বজনদের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে কয়েক হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও রয়েছে অভিযোগ।