বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হাল চিত্রে জেলার অন্যান্য থানার চেয়ে আইন শৃঙ্খলা সবার চেয়ে ভালো ছিল গত জুন মাসের ৩০দিনে এমনটাই দাবী করছেন থানা পুলিশ ও এলাকার সাধারণ জনগন।
ফতুল্লার থানার স্টেটম্যান অফিসার এ এস আই রফিকুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় গত জুন মাসে ৩০দিনে ২৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৪০০টাকার বিভিন্ন প্রকারের মাদক দ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ফতুল্লা মডেল থানায় বিভিন্ন অপরাধে ত্রিশ দিনে মোট ৯৯টি মামলা রুজু হয়েছে,এর মধ্যে ত্রিশ দিনে ৬৭টি মাদক মামলা রুজু হয়। আর থানা পুলিশ ৮১ জন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। মাদকসহনানা অপরাধে ৪৫জন আসামীকে তাৎক্ষনিকভাবে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এছাড়া ৫জন সাজা প্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জুন মাসে ৬ হাজার ৮শ‘৯৩পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,২১ গ্রাম হেরোইন, ২শ‘ বোতল ফেন্সিডিল, ২০লিটার চোলাই মদ,১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় পবিত্র মাহে রমজান মাসে সিয়াম পালন ও ঈদুল ফিতরের উৎসব অত্যান্ত শান্তি পূর্নভাবে উদযাপিত হয়। কোন ধরনের নাশকতা ও আইন শৃঙ্খলা বিঘœ কোন কাজকর্ম ঘটেনি। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধেও কোন ধরনের অভিযোগ আনতে পারেনি জেলার মাথা জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক পিপিএম। ফতুল্লা থানায় জুন মাসের মোট মামলা রুজু হয়েছে ৯৯টি। তা হলোঃ- ধর্ষন ১টি, ধর্ষনের চেষ্টা ও নারী ও শিশু নির্যাতন যৌতুকসহ ৮টি,চুরি ২টি, মারামারি(আদারসেকশনের) ২১টি, মাদক মামলা মোট ৬৭টি। অপমৃত্যু মামলার সংখ্যা মোট ৬টি। তবে হত্যা বা খুন এবং ডাকাতি দস্যুতা বর্তমান ও‘সি কামাল উদ্দিন যোগদানের পরে নেই বলেই চলে এমনটাই দাবী করছেন সচেতন মহল।
থানার পরিবেশ চাকচিক্য আগের তুলনায় অনেক সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে এমনটাই দাবী করছেন থানায় সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।
নারায়ণগজ্ঞ জেলার ফতুল্লা থানা ছাড়া ৬ থানারই কিছু না কিছু ত্রুটি বিচুতি পেয়েছেন, এবং অনেককেই পুলিশি আইনের বহিঃভূত কাজের জন্য ক্লোজ করেছেন সু-যোগ্য পুলিশ সুপার মঈনুলহক পিপিএম। কিন্তু ফতুল্লার একটি কনস্টেবলও কোন ধরনের বিপদে ও জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি।
আর এ সবেরই কৃতিত্ত্বের অধিকার ফতুল্লা মডেল থানার কর্মঠ অভিজ্ঞ অফিসার ইনচার্জ পরহেজেগারী মো. কামাল উদ্দিন এবং জেলার অতিরিক্ত গ‘ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শরফুদ্দিন। যদিও তিনি সদরসহ তিন থানার দায়িত্বে আছেন । কিন্তু ঐ থানাগুলোর অফিসার ইনচার্জ তার সাজেশন মতো না চলায় তাদের থানাধীন এলাকার আইন শৃঙ্খলা নড়বড়ে। কামাল উদ্দিন সিনিয়রদের আদেশ নির্দেশ গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন এবং তা কাজে প্রমান করে সে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও ঢাকা রেঞ্জেরও সে শ্রেষ্ঠ ও‘সি পুরস্কার নিতে পেরেছেন।
ফতুল্লা পাড়া মহল্লায় মাদক বিক্রেতা ও অপরাধীদের আতংক হলো ও“সি কামাল উদ্দিন। তিনি মাদক নির্মূল করতে না পারলেও হ্রাস করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে এমনটাই দাবী করছেন সচেতন মহল।
ফতুল্লা মডেল থানার ও‘িসি কামাল উদ্দিন ফতুল্লা লঞ্চঘাট ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস কাউন্টরের কাছে নিজে গিয়ে তদারকি করেছেণ্, ফলে লঞ্চ ও বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে পারেনি লঞ্চ ও বাস মালিকরা। তিনি লঞ্চঘাটে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের প্রতি ঘাট মালিক জুলুম অত্যাচার করতে যে না পারে এই জন্য প্রতিদিন পুলিশ মোতায়েন করেছিলেন এবং নিজেও সেখানে গিয়ে ঘাট মালিককে আতংকে রেখেছেন। যদিও ঘাট মালিক যাত্রীদের সাথে তেমন কোন ধরনের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের তাফালিং দেখা গেছে মাঝে মাঝে। যাত্রীদের ধাক্কা দিয়েও তাদের ড্রাম তুলতে দেখেছেন সাধারন যাত্রীরা । এই দিকদিয়ে ঘাটে থাকা পুলিশ ও থানা পুলিশের নিরবতা ছিল রহস্যজনক এমনটাই বলছেন সচেতন মহল। এছাড়া মার্কেট গুলোতে ছিল আনসার বেলান্টিয়ার ,কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে পাহাড়া দেয়া তা লক্ষনীয় ছিল। এছাড়া রাস্তাঘাটের যানজট মুক্ত রেখেছিলেন ফতুল্লা ,পাগলা ,পঞ্চবটি ও বিসিক এলাকাসহ বিপনি মার্কেটগুলো সামনে।
অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন জানান, তাঁর কনস্টেবল হতে অফিসার পর্যন্ত সবাই তাকে অনুসরন করেন ফলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।
তিনি আরো, জানান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শাহজাল পরিদর্শক( অপারেশন) মজিবুর রহমান ,শেখ সাদী হোসেন ,সেকেন্ড অফিসার এস আই ফয়েজুর রহমান সহ সকলের প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের থানার আইন শৃঙ্খলা অন্যাণ্য থানার চেয়ে ভাল রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদেরকে সাংবাদিক ও সম্পাদক ভাইরা এবং রাজনীতিবিদ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিরা ও তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করায় আমরা আমাদের কাজ সফলতা আনতে সক্ষম হয়েছি।