বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েণ্টে বিপদসীমার ৯৭ সে.মি ও ধরলার নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ও রাস্তা ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় এখনও অনেক মানুষ ত্রাণ পায়নি। খাদ্য, খাবার পানির সংকটের পাশাপাশি গবাদীপশুর আশ্রয় ও গো খাদ্যের সংকটও তীব্র হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বাঁধে ও খোলা আকাশের নিচে আশ্রিতদের দুর্ভোগ বাড়ছে। রৌমারী উপজেলা শহরের অধিকাংশ এলাকা ৩ দিন ধরে হাঁটু পানিতে ডুবে আছে। গত এক সপ্তাহে পানিতে ডুবে ও বন্যার পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে ২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে উজানে দুধকুমারে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। এ সময়ে ধরলায় কমেছে ১২ সেন্টিমিটার।
কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদ জানান, ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের ৭১৯টি গ্রাম এখন পানির নিচে। ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবারের প্রায় ৬ লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, ৬৭৫ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত। বিতরণ হয়েছে ৫৭৫ মে.টন.। প্রাপ্ত ১৮ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বন্যার্তদের মধ্যে।