বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ডিসিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের এসব কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটি ভূমিকা রাখবে।
সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে নির্বাচিত বিএনপি-জামায়াতের জনপ্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘অফকোর্স করা হবে। স্থানীয় সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। এটা (কমিটি) কোনো দলীয় অঙ্গ সংগঠন হবে না।’
জেলা পর্যায়ের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে সবদলকে রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন স্থানীয়ভাবে এটা করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তাদেরকে নিয়ে এটি করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো বিস্তার করা হবে।
তিনি বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রশাসন সবসময় গতিশীল থাকে। আমরা সবসময় যেটা বলি যে আমরা দেখতে চাই প্রশাসন যেন অলটাইম গতিশীল থাকে। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। সেই কাজে মাঠ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে।’ পুলিশের সঙ্গে ডিসিদের সমন্বয়হীনতা নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জনমত গঠনে জেলা প্রশাসকরা গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশেষ নির্দশনার কথাও জানান সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অনেকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীরাও এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। জেলা প্রশাসকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা। মাঠ প্রশাসন এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।’ এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় ডিসিরা সবসময় প্রস্তুত বলেও জানান মন্ত্রী।
জাতীয় ঐক্য নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা (ডিসি সম্মেলন) রাজনৈতিক প্লাটফরম তো না, সেটা এখানে এ বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই না। নিশ্চয় কাল পরশু পাবেন এ বিষয়ে কথা বলতে। তিনি এ নিয়ে বেশি কথা বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রী বলেন, গল্প করার জন্য কিন্তু এই ডিসি সম্মেলন না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু আসে এসব ইস্যু মোকাবিলা করার জন্য আমরা ওদের থেকে মাঠ পর্যায়ের অবস্থা জানতে চাই, তারাও আমাদের জানিয়ে থাকেন। আমরা সবকিছু সমন্বয় করে কাজ করতে চাই। একটা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কিন্তু অনেক অনেক বেশি। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সববিষয়ে তারা জড়িত। এখানে তারা সবকিছু নিয়েই তাদের বক্তব্য রাখেন আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন আমরাও শেয়ার করি। জেলা প্রশাসকের পদটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গে ইন্টারেকশন বাড়াতে এই ডিসি সম্মেলন।
বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা বাসস্থান, পরিবহন, চালকদের বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং এসব চাওয়া পাওয়া পুরণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।