বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত নয় জনের মধ্যে সাত জনের পরিচয় মিলেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ এ পরিচয় প্রকাশ করেছে।
বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পরিচালিত ডিএমপিনিউজ ডট ওআরজিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তারা হলেন, দিনাজপুরের ভল্লবপুর থানার নবাবগঞ্জ গ্রামের সোহরাব আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ, পটুয়াখালীর কুয়াকাটার নুরুল ইসলামের পুত্র আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমন্ডির রবিউল হকের পুত্র তাজ-উল-হক রাশিক, ঢাকার গুলশানের সাইফুজ্জামান খানের পুত্র আকিফুজ্জামান খান, ঢাকার ভাটারার তৌহিদ রউফের পুত্র সাজাদ রউফ অর্ক (আমেরিকান নাগরিক), সাতক্ষীরা তালা উপজেলার নাসির উদ্দিন সরদারের পুত্র মতিয়ার রহমান, নোয়াখালীর সুধারামের আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র মো. জোবায়ের হোসেন (২০)।
জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সাথে জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান ডিএমপির জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।
ডিএমপির এই উপ-কমিশনার আরো জানান, সাব্বিরুল হক কনিকের স্বজনরা ছবি দেখে পুলিশকে কনিকের পরিচয় জানালেও জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সাথে এই জঙ্গির আঙুলের ছাপ মেলেনি।
জানা গেছে, সাব্বির ছয় ও জোবায়ের চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। জোবায়েরের বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদি এলাকায়। নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিল সে।
আর সাব্বিরের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুণছড়া ইউনিয়নে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক অ্যান্ড ব্যাঙ্কিং বিভাগের ছাত্র ছিল সে। তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
সেজাদের বাড়ি ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডের ব্লক-সি, ৩০৪ নম্বর বাড়ি। তার বাবার নাম তৌহিত রউফ। নর্থ সাউথের বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র ছিল সে। শাহবাগ থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি ছিল সে। গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গি নিবরাসের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল সে। সেজাদ র্যাব ঘোষিত নিখোঁজদের সর্বশেষ ৬৮ জনের তালিকায় তার নাম ছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় তার বাবা সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেন।
ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, তিনজনের (শেহজাদ রউফ, জুবায়ের হোসেন ও সাব্বিরুল হক কনিক) পরিবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা ডিএমপির প্রকাশিত ছবি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মর্গে গিয়ে স্বজনদের লাশ শনাক্ত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। লাশ শনাক্তের পর জঙ্গিদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তারপর লাশ হস্তান্তর করা হবে।