বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্থানীয় পত্রিকা সমূহে সংবাদ প্রকাশের পর হাজীগঞ্জ (ফেরীঘাট) খেয়াঘাটে টোল আদায় নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল অবশেষে তা অবসান হয়েছে।বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ওই খেয়াঘাটে টোল আদায় বিষয়ক তালিকা টানিয়ে দিয়েছে। ফলে যাত্রী সাধারনের মাঝে যে ক্ষোভ ছিল তারও নিষ্পত্তি হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে ৪টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও ১৫টি বেসরকারি ট্রলার ২৪ঘন্টা চালু রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘাট ইজারাদারও নির্দেশনা মেনে নিয়ে যাত্রী সেবা করছে। হাজীগঞ্জ খেয়াঘাটে দু’পাশে (শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব-পশ্চিম) দিকের কাঠ-বাঁশের জেটিও মেরামত করা হয়েছে। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন আর নেই বললেই চলে। বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এর যুগ্ম পরিচালক স্বাক্ষরিত আদায় যোগ্য শুল্ক হারের (২০১৬-১৭ অর্থ বছর)তালিকায় যন্ত্রচালিত/অযন্ত্রচালিত নৌকায় পারাপার প্রতিবার জনপ্রতি ২টাকা,মালামাল পারাপার:বহনযোগ্য সাধারন মালামাল প্রতি কুইন্টাল বা অংশ বিশেষ প্রতিবার ৫টাকা,মালামাল/হাঁস,মুরগীর ঝুড়ি পরিমান ১বর্গ মিটারের উর্ধ্বে নয় প্রতিবার প্রতি ঝুড়ি ৫ থেকে ৮টাকা,ছাগল অথবা ভেড়া প্রতিটি প্রতিবার ৫টাকা,গবাদি পশু (গরু,মহিষ ও অন্যান্য)১৫টাকা,অন্যান্য সকল জীব-জন্তু (পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক যে সকল জীব-জন্তু,পশু-পাখি ধরা নিষিদ্ধ তা ব্যতিত ৬টাকা,বাই সাইকেল ২টাকা,রিক্সা ৬টাকা,মোটর সাইকেল/টেম্পু/স্কুটার/অটোরিক্সা ১০টাকা,যে সকল দ্রব্য সামগ্রীর মরিমাণ ঘন মিটারে প্রতি ঘনমিটার বা অংশ নির্ধারিত হয় বিশেষ প্রতিবার ৪টাকা।তালিকা টানানোর পর থেকে যাত্রীরাও এখন মহাখুশি।তাদের ভাষ্য এখন আর ইচ্ছে করলে বারতি টোল নিতে পারবেনা।একারণে যাত্রী সাধারন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।