স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। এমনকি আমার রাজনীতিতে আসার বিষয়েও গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্র ও সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কোনো ভুল করলে, গণমাধ্যম তা ধরিয়ে দেয়। এছাড়া গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম বিকশিত হলে গণতন্ত্রও সূসংহত হয়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা যায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায়। এই কারণে অনেক সময় সাংবাদিকরা রোষানলের শিকার হন। কিন্তু গণতন্ত্রের পূর্ণাঙ্গতার জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। গণমাধ্যম কর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালের আগে সংবাদমাধ্যম হিসেবে রেডিও খুবই শক্তিশালী গণমাধ্যম ছিল। ওই সময় সবাই রেডিওর ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। অবশ্য ওইসময় রেডিওকে গাণ শোনার জন্য ব্যবহার করতেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে এসে রেডিওকে অন্যরকম রূপে দেখা গেল। জাতির প্রয়োজনে রেডিও জনকল্যাণকর হয়ে উঠলো। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ব্যাপারে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, ভারতের আকাশ বাণী ও বিবিসি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
বিবিসির তৎকালীন রিপোর্টার নিজাম উদ্দিনকে পাকসেনারা বিজয় দিবসের প্রত্যূষে গুলি করে হত্যা করে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। সাংবাদিকরা জাতির প্রয়োজনে সবক্ষেত্রেই ভূমিকা পালন করে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে বেতনকাঠামোতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে বেতন পান, সে অনুযায়ী সাংবাদিকরা বেতন পান না। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এ বেতনবৈষম্য যাতে সরকার দূর করার ব্যবস্থা করে।
বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপতি ডিইউজের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ।