নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাছিবুর রহমান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন গুলিবিদ্ধ সহ ১০ জন আহত রয়েছেন। নিহত হাছিবুর চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের ৬ নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রে সেচ্ছাসেবকদল নেতা রাব্বানীর সমর্থক রবিনের সাথে যুবদল নেতা শামীমের সমর্থক শাহীনের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মনির তার লোকজন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক কর্মী রবিনকে তুলে নিয়ে শামীমের অফিসে আটকে রেখে মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে ভোর সাড়ে ৩ টারদিকে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাব্বানী ও করিমসহ তাদের লোকজন যুবদল নেতা শামীমের অফিসে রবিনকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে শামীমও তার লোকজনের সাথে তাদের সংঘর্ষে বাঁধে । উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় সেচ্ছাসেবকদল কর্মী হাছিবুর, রাসেল ও বাশারসহ কমপক্ষে ১০ জন। গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন হাছিবুর। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চনপাড়ায় স্থানীয় দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ শামিম এবং রব্বানী গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতি পরবর্তীতে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে প্রায় ৪টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ গোলাগুলির প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা শুনেছি যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাদের ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিছুক্ষন আগে খবর পেয়েছি হাছিবুর নামে একজন গতকালকে রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু বরণ করেছে। আরও দুই জন গুরুতর আহত অবস্থায় আছে। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে তো এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা র্যাব-১ ও আমাদের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি স্পেশ্যাল টিম নিয়ে আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছি। গতকালকের ঘটনায় যারা জড়িত ছিল। সেসব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।