জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে আট বছরের এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা এক ঘটনা ঘটে। এটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখেই ফোন দিয়ে বলেন, তার পাশে দাঁড়াতে। তাই আমরা শিশুর পরিবারকে জানাতে এসেছি, তারেক রহমান আপনাদের পাশে আছে। আমরা শিশুটির ন্যায়বিচারের পক্ষে মাঠে রয়েছি। এই নরপশুদের বিচার না হলে এরা মানুষ হবে না। আছিয়া যেভাবে মারা গেলো এর আগে যদি ধর্ষকদের কঠোর বিচার হতো তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না।
রোববার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হওয়া শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর নারী ও শিশু আইনী সহায়তা সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট সামসুন নূর বাঁধন প্রমুখ।
দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আফরোজা আব্বাস বলেন, আর এর জন্য দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনার প্রশাসন। কারণ এর আগেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও শেখ হাসিনার ১৭ বছরে অনেক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনার কোনো বিচার হয় নাই। বরং যারা গণধর্ষণ করতো তাদের পুরষ্কৃত করা হতো। সে কারণেই এইসব ঘটনা এখন বেড়ে গিয়েছে। এই নারায়ণগঞ্জের রিমা নামের একটি মেয়ে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়। তখন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা দিয়া জড়িত ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছিলেন।
তাই নতুন সরকাররে বলবো সময়ক্ষেপন না করে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করা। এখানে তো প্রমাণের দরকার নাই। জনসম্মুখে এদের বিচার হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা আরও কঠিন হওয়া উচিত। যদি আইন না থাকে তাহলে আইন বানাবে। কারণ জনগণ যেটা ঠিক করবে সেটাই আইন। ইসলামিক আইনেও বিচার করুক। ইসলামি আইনে আছে, ধর্ষককে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করা। অতি দ্রুত ২-১টা বিচার করা হলে ভবিষ্যতে কেউ এইসব ঘটনা ঘটানোর আগে ১০-১২ বার চিন্তা করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ আটিগ্রাম এলাকায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক দোকানীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। অভিযুক্ত দোকানির নাম সেলিম উদ্দিন (৫০)। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটি গ্রামের নূর হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং সিলেটের জামালগঞ্জের আজগর আলী তালুকদারের ছেলে।