নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা থেকে অপহৃত ১৬ বছরের এক কিশোরীকে দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করলেও অভিযুক্তরা এখনো পলাতক রয়েছে।
পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ ১১ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগীর মা মোসা. রিনা আক্তার আদালতে অভিযোগ করেন, ১১ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কুশিয়ারা এলাকা থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়। মামলার এজাহার অনুযায়ী, প্রধান আসামি মো. শওকত হোসেন (৫০) এবং তার স্ত্রী মোছা. সুরিয়া (৩৬) পরিকল্পিতভাবে কিশোরীকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার গোরাই এলাকায় নিয়ে যায় এবং দুই মাস আটকে রাখে। এ সময় প্রধান আসামি শওকত হোসেন ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই সদর দপ্তর, ঢাকার নির্দেশে এবং পুলিশ সুপার, পিবিআই নারায়ণগঞ্জের তত্ত্বাবধানে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। পরে এসআই (নিঃ) মো. মনিরুজ্জামান, এসআই (নিঃ) মো. মফিজুর রহমান, এএসআই (নিঃ) এমরান হোসেন, এএসআই (নিঃ) মো. ইব্রাহিম মিয়া এবং নারী কনস্টেবল শামীমার নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ৯ মার্চ রাত সোয়া ৭টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানাধীন গোরাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের সময় অভিযুক্ত শওকত হোসেন ও তার স্ত্রী মোছা. সুরিয়া বাসায় উপস্থিত থাকলেও তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
উদ্ধারের পর কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ১০ মার্চ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণের পর ভিকটিমকে মায়ের জিম্মায় দেন।
পিবিআই জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মো. মনিরুজ্জামান আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।