চট্টগ্রাম মহানগরে পুলিশের শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল শনিবার বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ মো. দিদারুল আলম চৌধুরী নামে এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। মো. দিদারুল আলম চৌধুরী চন্দনাইশ উপজেলা আ.লীগের কার্যকরী সদস্য বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, দিদারের ছোট বোনের স্বামী, চট্টগ্রামের আরেক গডফাদার আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এর ক্যাডার পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় দিদার নাছিরবাদ শিল্পাঞ্চলে জমিদখল,চাঁদাবাজি, খুনসহ এমন কোন অপরাধ নেই সে করেনি। এছাড়া দিদারের মেজো ভাই এএসপি সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রামে পোষ্টিং থাকার কারণে দিদার নাছিরাবাদ শিল্পাঞ্চলসহ চট্টগ্রাম শহর সহ আশপাশের উপজেলায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। দিদারের আরেক সহযোগী চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় বহদ্দারহাট, মুরাদপুর ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে দিদারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে শেরশাহ যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদল হত্যাকান্ডসহ নাসিরাবাদে পতিত সরকারের আমলে একাধিক হত্যাকান্ডে দিদার ও মহিউদ্দিন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর শেরশাহ, পলিটেকনিক্যাল, বায়েজিদ, টেক্সটাইল, আরিফিন নগর, আমিন জুট মিল এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক কথিত যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম ও একেএম মহিউদ্দিন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তাদের দু’জনকে ‘মানিক জোড়’ বলে থাকে সাধারণ মানুষ।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে বাসায় ফেরার পথে শেরশাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে ছুরিকাঘাতে খুন হন হকার্স লীগ নেতা রিপন। পরদিন ১ জানুয়ারি নিহত রিপনের ভাই মোহাম্মদ আজাদ বাদী হয়ে দিদারুল আলমকে প্রধান, মহিউদ্দিনসহ ২৮ জনের নামে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেন।