নারায়ণগঞ্জের স্কুলগুলোতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রূপগঞ্জের নুরুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজ, অনির্বাণ ডিজেবল চাইল্ড কেয়ার স্কুল এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এবং নব কিশলয় হাই স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
তিনি প্রথমে নুরুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন তারপর পতাকা উত্তোলন, কুজকাওয়াজ পরিদর্শন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কক্ষ উদ্বোধন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মানুষ গড়ার কারখানা, যেখানে শুধু শিক্ষা প্রদান করাই একমাত্র উদ্দেশ্য হবে না বরং পাশাপাশি মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব গড়ে তুলতে হবে।”
এরপর জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা অনির্বাণ ডিজেবল চাইল্ড কেয়ার স্কুল এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য আধাপাকা ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, “মানুষ হিসেবে যদি আমরা নিজেদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত দাবি করতে চাই তাহলে সেটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে এসব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ভালোবাসার মাধ্যমে।” তিনি আরো বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি অনেক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু সুস্থ শিশুদের থেকেও মেধা ও মননে এগিয়ে।”পরবর্তীতে তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও ক্রীড়া সামগ্রী উপহার দেন।
সর্বশেষ তিনি নব কিশলয় হাই স্কুল এন্ড গার্লস কলেজে পরিদর্শনে যান। এরপর পতাকা উত্তোলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রীড়া সামগ্রী উপহার দেন।
তিনি প্রধান অথিতির বক্তব্যে বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে আমাদের সমাজের বাতিঘর, আমরা এই বাতিঘরকে সমাজের কেন্দ্রবিন্দু বানাতে চাই এবং এই বাতিঘর থেকে যে দ্যুতি ছড়াবে সেটা দিয়ে সমাজ আলোকিত করতে চাই।” তিনি আরো বলেন, “আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চাই, মাদক সম্পূর্নরুপে নির্মূল করতে চাই। এজন্য শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি, পূর্বাচল সার্কেল) মোঃ উবায়দুর রহমান সাহেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি, রূপগঞ্জ) মোঃ তারিকুল আলম, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সকল শিক্ষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।