বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হত্যার ঘটনায় এজাহার নামীয় ১১জন এবং অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ফতুল্লা থানায় মামলাটি রুজু করা হয়। মামলায় এজাহার নামীয় আসামিরা হলো মোঃ আক্তার হোসেন (৪০), মোঃ সুমন হোসেন (৩৫), মোঃ রতন হোসেন ওরফে রাখাল রতন (৩২), শাওন হাসান (৩৬), রাকিব প্রধান (৩৪), রাব্বিল (২৬), নয়ন ওরফে কিলার নয়ন (৪৫), শাহ আলম (৪৬), সোলেমান (৪০), জয়নাল (৪৪), রাসেল (২৮), গোলাম রাব্বি হোসেন হৃদয় (৩২), আরব আলী সরদার (আক্তারের বাড়ীর নাইট সিকিউরিটি গার্ড)। এর আগে শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে মামুনকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী ইয়াসমিন উল্লেখ করেন, নিহত মামুন রাজনীতির পাশাপাশি ইমারত নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা করতো। শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) ভোর আনুমানিক পাঁচটার সময় মামুন ব্রিক ফিল্ড থেকে ইট আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় এজাহার ভুক্ত দুই থেকে তেরো নং আসামিরা আমার স্বামীকে এক নং আসামি আক্তার কথা বলবে বলে তাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এসময় আমি বাড়ির দরজার সামনে দাড়ানো ছিলাম। আমার স্বামীসহ আসামিরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পৌঁছলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় তার ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয় এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আমি দৌড়ে সেখানে যাই। তখন উল্লেখিত আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে আমার ডাক-চিৎকার ও আমার স্বামীর আত্ম-চিৎকারে আমার স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
মামলায় বাদি আরো উল্লেখ করেন নিহত মামুন মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তার নেতৃত্বে বিগত সময়ে মাদক, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তাই আমার স্বামীকে স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার আক্তার-সুমন গং গুলি করেছিলো। ওই সময় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় আমার স্বামী প্রাণে বেঁচে যায়। তখন থেকেই আক্তার ও সুমন হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পূর্ব পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় আক্তার আমার স্বামীকে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হত্যা করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম জানান, এঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আমরা তাদের আটকের চেষ্টা করছি।