নারায়ণগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শতাধিক ভ্যান চালক।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর চাষাড়ায় ভ্যান গাড়ি থামিয়ে রেখে বিবি সড়ক অবরোধ করে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি এ বিক্ষোভ করেন তারা।
ভ্যান চালকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভে অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এ সময় শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ভ্যান চালকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। রবিবার বিকেলে সাড়ে ৫টায় ভ্যান চালকদের বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে বলেন, এ সময় তারা আধঘন্টা সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে দিকে প্রথমে নগরীর চাষাড়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ও পরে চাষাড়া গোল চত্বরে এলোপাতাড়ি ভাবে ভ্যান গাড়ি রেখে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে ভ্যান গাড়ি চালকরা। নারায়ণগঞ্জ ব্যাটারি চালিত ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংহতির ব্যানারে তারা মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শহরে। ভ্যান চালকদের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ট্রাফিক পুলিশ ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে পাঁচশত টাকা করে চাঁদা আদায় করতো। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভ্যান চালকরা মাসিক চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেন। ফলে ট্রাফিক পুলিশ এখন তাদের ভ্যান আটক করে জরিমানার নামে এক হাজার টাকা করে চাঁদা আদায়সহ নানাভাবে হয়রানি করছে। অবিলম্বে ট্রাফিক পুলিশের এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান ভুক্তভোগী ভ্যান চালকরা। ভ্যানচালকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলন ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন জানান, ভ্যান চালকরা নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা পরিশ্রম করে মালামাল পরিবহন করেন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে প্রতিনিযয়ত চাঁদা আদায় করছে। আমরা পুলিশের এ ধরনের চাঁদাবাজির বন্ধের দাবি জানাই।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে তাদের কোন সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা অভিযোগ না দিয়েই চলে গেছেন।
Via:
এমএইচ