বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ শহরের চুনকা পাঠাগার সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলী সীমান্তের পরিবারের খোঁজ খবর নিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত সীমান্তের পরিবারের খোঁজ নিতে এসে মহানগরী জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের চাঁদাবাজ বাহিনী চাদাঁ তুলতে না পেরে এখন চুরি ডাকাতি’তে নেমেছে।
আমি এলাকায় এসেই খোঁজ নিয়ে দেখলাম ওয়াজেদ আলী সীমান্ত অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিলেন এবং নামাজী ছিলেন। যারা এই গুপ্ত হত্যার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
প্রশাসনকে বলবো প্রতিটি অলি গলিতে রাতের নিরাপত্তা টহল বাড়াতে হবে। এসময় তিনি সীমান্তের রূহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট মোনাজাত করেন। সেই সাথে নিহত সীমান্তের পরিবার কে ধৈর্য্য ধারণ করে, সাহসীকতার সাথে খুনীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম,
মহানগরী সহকারী সেক্রেটারী এইচ এম নাসির উদ্দীন, মহানগরী প্রচার সম্পাদক হাফেজ আব্দুল মোমিন, সদর পূর্ব থান আমির মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক নেতা এড,সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২০)। তিনি রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সীমান্তের বাবা আলম চান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে দেওভোগের বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে শহরের ডিআইটি এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তাঁর ছেলে আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ছেলের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ১০টার দিকে সীমান্তের মৃত্যু হয়।