বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আর একদিন পরই কোরবানির ঈদ। তাই প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে যানজট নেই। তাই নারীর টানে স্বস্তিতে প্রিয়জনের কাছে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে।
গতকাল রাত থেকে শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে ছুটি হয়েছে। তারপর থেকে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার (১২ জুন) সকাল থেকে মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাংরোড ও কাঁচপুর সহ সড়কের বিভিন্ন পাশে আন্তঃ জেলা বাস কাউন্টারগুলোতে মানুষের উপচে ভীড় রয়েছে। ঈদ যাত্রায় সন্তান স্ত্রী সহ পরিবার নিয়ে বাসের অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। আবার কেউ কেউ বন্ধু কিংবা একাই কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন। নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে যেতে এই ভীড় করছেন তারা। মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুক্রবার রাতে যানজট থাকলেও আজ শনিবার ভোর থেকে কিন্তু কোথায় যানজট নেই। আজ গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে পণ্যবাহী যানবাহনের তেমন বাড়তি চাপ দেখা যায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল, মদনপুর, মোগরাপাড়া ও মেঘনা সহ ঢাকা-সিলেট ও এশিয়ান মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
অপেক্ষামান যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে তারা গাড়ি পাচ্ছেন না এবং অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন। সাইনবোর্ড এলাকায় আক্তারুজ্জামান নামে এক যাত্রী বলেন, গাড়ীর জন্য ৩০ মিনিট যাবৎ অপেক্ষা করছি। অন্য দিনের তুলনায় ভাড়া কিছুটা বেশী নিচ্ছে। তবে সড়কে যানজট দেখছি না। মনে হয় স্বস্তিতেই বাড়ি যেতে পারবো।
অভিযোগ অস্বীকার করে গনপরিবহন শ্রমিক সুমন হোসেন বলেন, গতকাল যানজটের কারনে গাড়ি ঢাকা থেকে আসতে আরো সময় বেশী লেগেছে। আজকে তেমন সময় লাগছেনা। আমরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না। নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীদের হয়রানি রোধে সকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। বাড়তি ভাড়া ও ভাড়ার তালিকা না থাকায় ৪ টি বাস কাউন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ থেকে ঈদের শেষ চারদিন এ অভিযান চলবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসানুল আলম।
এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম পথের নারায়ণগঞ্জের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে শিমরাইল, মদনপুর, মোগরাপাড়া সহ মেঘনা পর্যন্ত যানজট এড়াতে ইউর্টান, ইউলোবসহ আলাদা লেন নির্মাণ করায় পূর্বে যেখানে যানজট হতো এবার তার আর সম্ভবনা নেই। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ সড়কের কাঁচপুর থেকে আড়াইহাজারের পুরিন্দাবাজার পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যান্ড ও চার লেন উন্নতি করণ প্রকল্পের কাজের জন্য যাত্রামুড়া, বরাব, রূপসী, তারাব কর্ণগোপ এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে।
যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পাড়ে তাই যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ সড়কে যানবাহনের চাপ কম। মহাসড়কের কোথাও এখন পর্যন্ত যানজট নেই। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং ঈদের শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে।