বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আজ (২০ ফেব্রুয়ারী) প্রয়াত ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীনতা পদকে ভূষিত (মরোণত্তর) এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জননেতা এ কে এম শামসুজ্জোহার ৩৭তম মৃত্যু বার্ষিকি। প্রয়াত সামসুজ্জোহা একাধারে গণ পরিষদ সদস্য ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা মরহুম খান সাহেব ওসমান আলীও ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সাবেক এমএনএ। ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের আদি নিবাস নারায়ণগঞ্জের ‘বায়তুল আমান ভবন’ আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করা হয়েছিল। বাংলার মুক্তি সংগ্রাম তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সনদ “৬ দফা আন্দোলন” এর গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসের সাথে প্রয়াত সামসুজ্জোহার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ১৯৬৬সালের ৮ই মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জ বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় ৬দফার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়েছিলেন। ঐ জনসভার সভাপতিত্ব করেছিলেন প্রয়াত একেএম সামসুজ্জোহা। ঐ দিন ৬দফার প্রতীক হিসেবে ৬টি কবুতর উড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৫টি মশাল জে¦লে মুক্তি সংগ্রামের শপথ নেন নেতাকর্মীরা। ঐ রাতেই বঙ্গবন্ধুকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রয়াত সামসুজ্জোহা সর্ব প্রথম হাইকোর্টে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে বিজয়ের বার্তা প্রচার করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্ত থাকার আহবান জানান। ঐ দিন অপরাহ্নে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাক সেনাদের হাতে আটক বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করতে গিয়ে পাক সেনা কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রয়াত সামসুজ্জোহাকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) এ ভূষিত করা হয়। প্রয়াত শামসুজ্জোহার সহধর্মীনি ও রতœগর্ভা প্রয়াত নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষা সৈনিক। তিনি ২০১৬ সালের ৭ মার্চ মৃত্যু বরণ করেন। প্রয়াত সামসুজ্জোহার ছেলে প্রয়াত নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টি থেকে একাধিকবার এমপি হয়েছেন, মেঝ ছেলে বিএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এমপি ও ছোট ছেলে একেএম শামীম ওসমান এমপিও একাধিকবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রয়াত এই জননেতার মৃত্যু বার্ষিকি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় চাষাড়া হীর মহলস্থ বাসভবনে পবিত্র কোরআন খানি ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ সবাইকে থেকে মিলাদ ও দোয়ায় অংশ গ্রহনের আকুল আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দিনটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসুচী পালন করা হবে।