বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মুক্তিযুদ্ধে একাত্তরের শান্তি বাহিনী ও ৭৩ এর শান্তি বাহিনী আর বর্তমান আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ মিলে একাকার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমার মাথায় একটা জিনিষ খেলে না। অবস্থান কর্মসূচি আমরা রমজানের মধ্যে করছি। যারা রমজানে ট্রেন লাইন বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রেন লাইনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। চট্টগ্রামে পোর্ট বন্ধ করেছিল। মানুষকে লগি বৈইঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের লাশের উপর নাচানাচি করেছিল। তারা এখন শান্তির কথা বলে। তারা আমাদেরকে শান্তির শবক দেয়। এটা কোন শান্তি? ১৯৭১ এ শান্তি বাহিনির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আওয়ামীলীগ কি সেই শান্তি বাহিনীর ভূমিকায় নেমেছে। আর সেখানে পুলিশও তাদের সহায়তা করছে। আজকে মানুষের কাছে এটা বড় একটা প্রশ্ন।
পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্যে আলাল আরো বলেন, শান্তির নামে গতকালকেও তারা বিএনপির মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়ে মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়ে তারপরও শান্তির কথা বলে। এজন্য তাদের কাজ দেখে আমাদের ৭১ সালের শান্তি কমিটির কথা আমাদের মনে পড়ে। ৭৩ ও ৭৪ সালে বাংলাদেশ ধ্বংস করার জন্য যে শান্তি বাহিনী গঠন করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের বর্তমান কর্মকান্ড দেখলে সেই শান্তি বাহিনীর কথা মনে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধে একাত্তরের শান্তি বাহিনী ও ৭৩ এর শান্তি বাহনী আর বর্তমান আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ মিলে একাকার হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, এই শান্তি সমাবেশকে সহযোগীতা করতে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি নামক না করার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি সেই অনুরোধ রইল। আপনাদের ইউনিফর্মে ও ব্যাচে আওয়ামী পুলিশলীগ লেখা নাই। লেখা আছে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ র্যাব, লেখা আছে বাংলাদেশ গোয়ান্দা বাহিনী। বেশী বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশী বাড়াবাড়ি কখনোই কারো জন্য ভাল হয় নাই। রাজপথ, কারাগার, গুম ও খুন পনের বছর আমাদের এমনভাবে শিখিয়েছেন এগুলোকে আমরা কেয়ার করিনা। মা তার সন্তানকে বলে যাও যা হবার হবে যেভাবে বেঁচে আচি এর চেয়ে মরে যাওয়া ভাল। শহীদ হও। যেভাবে বেঁচে আছি এর চেয়ে কবরে থাকা ভাল ও নিরাপদ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারের ইউনিফর্ম পড়ে সেকাজে আপনারা যদি সহযোগীতা করেন। তাহলে সেটা মানুষকে কষ্ট দেয়। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু আপনাদের প্রত্যাখান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে আমরা ঢালাওভাবে দোষারোপ করিনা। যারা বেশী করে বাড়াবাড়ি করছেন তারা ভবিষ্যৎ এ এই বিষয়ের জন্য সতর্ক থাকবেন কিন্তু। না হলে যেটা হবে। আমাদের নাম যেমন সব জায়গায় তালিকাভুক্ত করছেন। আজকে এখানে পরিস্কার করে বলে দিতে চাই। আপনাদের তালিকা যে হচ্ছেনা সেই গ্যারান্টি কে দিবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনারা কারও সাথে বিভাদে জড়াবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি আপনাদের সহযোগীতা করে তাদের ধন্যবাদ দিবেন। বাধা দিলে কী হবে তা আমি বলে গেছি।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি সহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।