বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা কাঠের পুল অঞ্চলে বে-আইনীভাবে বন্ধকৃত কারখানা ক্যাডটেক্স গার্মেন্টস লিঃ খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই প্রত্যাহারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ বিকেএমইএ কার্যালয় সম্মুখে অবস্থান করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার(১৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আন্দোলনরত শ্রমিকদের নেত্রী রুবিনা আক্তার। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, সহ-সভাপতি আব্দুল হাই সরিফ, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম.এ. শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির নেতা দুলাল সাহা, সহ-সাধারন সম্পাদক দিলীপ দাস,গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, পোশাক কর্মী কুদ্দুস ও মমিন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্যাডটেক্স কারখানার মালিক কোন কারণ ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অসৎ উদ্দেশ্য গত ১২ জুলাই থেকে কারখানাটি ১৩(ক) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন। যারফলে কারখানায় কর্মরত ২৫০০জন শ্রমিককে অনিশচিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলেদেয়া হয়েছে। তাদের রুটি-রূজির পথ বন্ধ করে শ্রমিকদের বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। করখানা র্কতৃপক্ষ প্রচলিত শ্রম আইন পরিপন্থী হয়ে প্রায় ৩১০জন শ্রমিককে ছাঁটাই এর নোটিশ দেন। শ্রমিকরা এই অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ১২ জুলাই থেকে নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে আন্দলন করে আসছে। ইতিমধ্যে র্গামেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ ও জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিত ভাবে অবহিত করার পরও কোন সমাধান না পাওয়ায়, আজ ১৮জুলাই সোমবার সকালে ক্ষুর্দাত ও হতাসাগ্রস্থ শ্রমিকরা বিকেএমইএ র্কয্যালয় ঘেরাও করে ৪ ঘন্টা ধরে অবস্থান কর্মসূছি পালন করার পরও মালিক পক্ষ থেকে সমাধানের কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, কারখানার মালিক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার হীন উদ্দেশ্যে কারখানাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে তাদের স্বার্থে আঘাত করা হয়েছে। অধিকার সচেতন ও পুরাতন শ্রমিকদের ছাঁটাই করার উদ্দেশ্যেই কারখানাটি বন্ধ করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ। উক্ত কারখানার সংকট সমাধানে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে শ্রমিক প্রতিনিধিদের একাধিক বার আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও সমাধান হয়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিকেএমইএ এর নেতৃত্বের অযোগ্যতা বা মালিকের এই ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত থাকার কারনেই উক্ত সংকট সমাধান হচ্ছেনা। তাই মালিক পক্ষকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে অনতিবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে কারখানা খুলে দিতে হবে। সকল শ্রমিকদের কাজে পুনঃবহাল রেখে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সমাধান না পেলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুসিয়ারী দেন নেতৃবৃন্দ।