বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি রপ্তানীমুখী পোষাক কারখানার ভিতর থেকে শয়ন চন্দ্র মন্ডলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মোহন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় ইয়াবা না পেয়ে মোহন ও সুমন মিলে হত্যা করে শয়নকে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মোহন (২৫) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর দাদা সড়কের বাসিন্দা।
বুধনার (১৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মে. মহসিন জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত দশটার দিকে মোহনকে মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিদর্শক মো.মহসিন জানান, শয়ন হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট পাওয়ায় মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে তখন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া হবে।
এদিকে এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির(টু) জানান,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মোহন স্বীকার করে যে, নিহতের লাশ উদ্ধারের তিন দিন পূর্বে ৪ মার্চ সন্ধ্যার মাসদাইর পাবনার মাঠে সে এবং সুমন নিহত শয়নের কাছে মাদক সেবনের জন্য মাদক দ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট) চায়। কিন্ত শয়ন তাদেরকে না দিতে চাইলে সুমন এবং মোহন লাঠি দিয়ে নিহত শয়ন কে বেদড়ক পিটুনি দেয়। এতে করে শয়ন মাটিতে পরে গেলে তারা মাঠ থেকে চলে যায়। তিনদিন পর তারা লোকমুখে জানতে পারে যে শয়নের মৃরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ শুনে তারা সাথে সাথে আত্নগোপনে চলে যায়। তবে কি ভাবে শয়ন বেস্ট ওয়েস্ট এ্যাপারেলস গার্মেন্টসের ভেতরের পরিত্যক্ত জায়গায় এসেছে তা তারা জানেনা।
তিনি আরো জানান, হত্যা মামলা দায়েরের পরে মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে জানা যায় নিহত শয়ন গ্রেপ্তারকৃত মোহন ও সুমন এক সাথে মাদক সেবন করতো। সেই সূত্র ধরে নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সুমন এবং মোহন কে গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছিলো। কিন্ত আত্নগোপন করায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিলো না। মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে মোহন কে মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত শয়ন চন্দ্র মন্ডল (৪৩) শহরের শেরে বাংলা রোড এলাকার জতীন্দ্র চন্দ্র মন্ডল ও লক্ষী রানী মন্ডলের ছেলে।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সবে বরাতের দিবাগত রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন সংলগ্ন লোহার মার্কেটের পাশে অবস্থিত বেস্ট ওয়েস্ট এ্যাপারেলস গার্মেন্টসের ভেতরের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পরদিন মরদেহটি চিহ্নিত করে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।