বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র শাহ জালাল বাদলের স্ত্রী নিঝুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৫ মার্চ) দুপুর
নগরীর চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় একটি ৭ তলা ভবন থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী বাদলকে পুলিশ নিয়ে গেছে। দুপুরে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মার্মা। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে নিহতের মৃত্যুর কারন জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী বাদলকে আনা হয়েছে।
নিহত সাদিয়া ইসলাম নিঝু (৩০) চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় রাজু স্কয়ারে বসবাস করতেন। তিনি জাতীয় পার্টির নেতা আলী হায়দার খান শামীমের মেয়ে ও নিঝু বিউটি পার্লারের মালিক।
নিহতের মা ঝর্ণা হায়দার বলেন, প্রতিদিন সকালে আমরা ছাদে হাটাহাটি ও গল্প করি। আজকেও প্রতিদিনের মত আমার সাথে সে ছাদে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটায় এবং গল্প করলো। আমরা একসাথেই ছিলাম। পরে আমি নিচে নেমে গেলাম, ও বলল ছাদে একটু হাঁটবে। এর কিছুক্ষণ পর ছাদের কিনারে যাওয়ার পরেই সে হয়ত পড়ে যায়। গতকালও ও আমাকে বলেছিল আম্মু আমি ছাদ থেকে পড়ে যেতে নিয়েছিলাম। পারিবারিকভাবে কোন ঝগড়া বা কলহ ছিল না। ওর হাই প্রেশার হাই ডায়বেটিস সহ নানা শারীরিক জটিলতা ছিল, এখন কি হয়েছে কিভাবে হয়েছে বলতে পারছিনা।
প্যানেল মেয়র বাদল জানান, আমি আমার কাউন্সিলর কার্যালয়ে কাজ করছিলাম। তখনই হঠাৎ আমার শাশুড়ী ফোনে জানান, যে আমার স্ত্রী নিঝু ছাদ থেকে পরে গেছেন। তিনি আমাকে তারাতারি আসতে বলেন। ওর সাথে কোন পারিবারিক কলহ ছিল না। এই চার পাঁচদিন আগেও নিঝু আমার সাথেই ছিল। আমার ছেলে ক্যামব্রিয়ান স্কুলে পড়ে তাই ও মায়ের সাথে এখানেই বেশি থাকতো। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পার্লার থাকায় সেখানে থাকতো আমার স্ত্রী নিঝু। স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব বা পারিবারিক কলহ নেই বলে দাবি করেন স্বামী বাদল।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. জামান জানান, ওই নারীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারন জানা যায়নি । ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের সুরতহাল করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত নিঝু পড়ে গিয়ে মারা গেছেন কিংবা আত্নহত্যা বা হত্যাকান্ড তা তদন্ত করা হচ্ছে। আসল কারন তদন্ত শেষে বলা যাবে।