বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে বখাটের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে লামিয়া (১৬) নামের দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। লামিয়ার মৃত্যুরপরও বখাটেরা তার বাড়ি ছাড়েনি। ভয়ে লামিয়ার বাবা এদিন রাতের অন্ধকারে লাশটিকে দাফন করে দেয়। ঘটনার ৩দিন পর মৃত্যুর বিষয়টি জানাযানি হলে এলাকাবাসী মাঝে আলোচনা সমালোচনা ও উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লামিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করে শোকাহত পরিবারকে শান্ত দেন।
১ মার্চ দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় শুক্রবার রাতে দুই বখাটের নাম উল্লেখ করে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামো দায়ের করেন।
জানা যায়, নিহত লামিয়া কানাইনগর এলাকার আঃ রহিমের একমাত্র মেয়ে। স্থানীয় কানাইনগর সোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। এ বছর ওই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি ছিল লামিয়ার।
লামিয়ার বাবা আঃ রহিম জানান, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার পিয়ার আলীর বখাটে ছেলে মাহিন ওরফে মোহন (২৩) তার সহযোগী আল আমিনসহ ৪/৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে লামিয়াকে কুপ্রস্তাব দিয়ে জোর করে শারীরিক নির্যাতন করত।
তিনি আরো বলেন, ১মার্চ দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে লামিয়াকে কুপ্রস্তাব দিয়ে জোর করে শারীরিক নির্যাতন করার চেষ্টা করে মোহন। এদিন তাদের প্রতিহত করে দৌড়ে লামিয়া বাসায় চলে আসলেও বখাটে মোহন দলবল নিয়ে বাসায় চলে আসে। মায়ের সামনেই লামিয়াকে অশ্লিল কথা বলে ডাকতে থাকে মোহন। বখাটে মোহনের সন্ত্রাসী কায়দায় এমন মারাত্মক উৎপাতে ভয়ে লামিয়া ও তার বাবা মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিকেলে তার বাবা ব্যবসায়ীক কাজে বাসা থেকে বাহিরে বের হয়। তার মা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ওইসময় লামিয়া আত্মহত্যা করেছে।
আঃ রহিম বলেন, আমার মেয়ে বখাটেদের শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেিয় আত্মহত্যা করেছে। আমি বখাটেদের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। দ্রুত পুলিশী সেবা পেতে সরকার ৯৯৯ চালু করেছে। যেকোন স্থানে বিপদে পড়ে মোবাইলে অথবা টেলিফোনে ৯৯৯ উঠিয়ে ফোন করে সমস্যা জানিয়ে সহযোগিতা পাবে যেকেউ। আঃ রহিম অথবা তার স্ত্রী কিংবা তার মেয়ে ফোন করে সহযোগীতা চায়নি। আমরা চেষ্টা করছি বখাটেদের গ্রেফতার করার। এঘটনায় মামলা হয়েছে।