বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এইচপি কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ১২টি ইউনিটের প্রায় চার ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নির্বাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের তিনগাঁও এলাকায় অবস্থিত এসপি কেমিক্যালে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আড়াইহাজার, সোনারগাঁ, ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন ও ডেমরাসহ ৬-৭টি স্টেশনের মোট ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ শুরু করেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এসপি কেমিক্যালস্ লিমিটেডের কারখানাটিতে মূলত বিভিন্ন অর্গানিক কেমিক্যাল থেকে প্রকৃয়াকরনের মাধ্যমে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করা হয়। ট্রাই মিথাইল, বেনজিন, ট্রাই অক্সিল, পটাশিয়াম কর্বোনেট ও ফসফরাস সহ বিভিন্ন কেমিক্যালের গুদামের সামনেই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্রকৃয়াকরন প্লান্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্লান্ট থেকে ঠিক ৪০-৫০ গজের মধ্যেই হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের গুদামটি অবস্থিত। প্লান্ট থেকে যেন গুদামে আগুন না ছড়িয়ে পরে সেই দিকে জোড় দিয়ে কাজ করে ফায়র ফাইটারার। তবে সহজে ধায্য ও সাধারণ আগুনের চেয়ে এর তাপের তীব্রতা বেশি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরো ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে যোগ দিলে মোট ১২টি ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. তাজুল ইসলাম আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম বিবৃতি দিয়ে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চার ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কেমিক্যালের আগুন সাধারণ আগুনের মত নয়। এর তাপের তীব্রতা কযেকগুন বেশি হয়। আজকে এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদেররিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট আমাদের শক্তিকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে। তবে আহুনের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
একই সমযে দুইটি স্থানে আগুন লাগায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের বেগ পেতে হয়েছে কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আসলে একই দিনে পৃথক দুইটি স্থানে আগুন লাগায় একানে প্রথমে তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেন। পরে তাদের অনুরোধে মোট বারটি ইউনিট কাজ শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ায় আগুন প্লান্ট থেকে গুদামে ছড়াতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানের ফায়ার ফাইটিং সক্ষমতা পর্যাপ্ত আছে কিনা ও তাদের ফায়ার সার্টিফিকেট (এনওসি) আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।