বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
১০ বছরেও নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের ২৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ত্বকী হত্যার ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৬ মার্চ। অথচ আজও এ হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়নি। আমরা এতে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর না যেতেই মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব কেন, কখন, কোথায়, কারা এবং কীভাবে ত্বকীকে হত্যা করেছে তা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করেছিলেন। তখন সংবাদপত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আমরা তা জানতে পারি। তদন্ত শেষ করার দীর্ঘ দিন পরেও এ হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয়নি।’
বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, রাষ্ট্রের সব নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার সংবিধান নিশ্চিত করেছে। কোনো হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ভাষাসংগ্রামী লেখক-গবেষক আহমদ রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রবীন্দ্রগবেষক সনজীদা খাতুন, শিল্পী ও ভাষাসংগ্রামী মুস্তাফা মনোয়ার, লেখক-চিন্তাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার, ড. হায়াৎ মামুদ, শিল্পী রফিকুন নবী, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, মানবাধিকার সংগঠক সুলতানা কামাল, আইনজীবী শাহদীন মালিক, গবেষক সফিউদ্দিন আহমদ, শিশু সংগঠক মাহফুজা খানম, লেখক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি সারোয়ার আলী ও লেখক-গবেষক মফিদুল হক, নারী অধিকারকর্মী-লেখক মালেকা বেগম, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, অধ্যপক শফি আহমেদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যপক এম এম আকাশ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেনিন চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। এর ২ দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।