বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
এবার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নসিহত করার বর লাভ করেছেন কুতুবপুরের কতুব বনে যাওয়া চেয়ারম্যান বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মনিরুল আলম সেন্টু। মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে তিনি দাবী করেছেন, এমপি শামীম ওসমান তার কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরীর দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রকাশ্য সভায় বিএনপি থেকে সদস্য বহিস্কৃত নেতার মুখ থেকে এ ধরনের বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষোভ আর হতাশা দেখা দিয়েছে কুতুবপুর আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মাঝে। প্রশ্ন উঠেছে,যে চেয়ারম্যানের সহযোগিরা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে সেই চেয়ারম্যানের হাতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করার ক্ষমতা তুলে দিলেন এমপি শামীম ওসমান? আবার প্রকাশ্যে জনসভায় দাম্ভিক ভঙ্গিমায় আওয়ামী নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতার সামনে এ সকল বক্তব্য পেশ করে যাচ্ছেন অবলীলায়।
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মনে জন্ম নেয়া এ সকল প্রশ্নের পেছনে রয়েছে তৃতীয়দফায় চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হওয়া মনিরুল আলম সেন্টুর সাম্প্রতিক কর্মকান্ড ও বক্তব্য। গত ১৫ জুলাই শুক্রবার বিকালে শাহিমহল্লা মাদ্রাসায় এবং বউবাজার এলাকায় পর পর দুটি অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান সেন্টু‘র একই সুরের বক্তব্য এ সকল প্রশ্নকে আরো উসকে দিয়েছে।
বিকালে শাহিমহল্লা মাদ্রাসায় ঈদগাহ ও কবরস্থানের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫নং ওয়ার্ড মেম্বারের উদ্যোগে আয়োজিত গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভায় তিনি এলাকার আওয়ামীলীগ অফিসগুলোকে টার্গেট করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে বক্তব্য দেন। তার প্রতিটি বক্তব্যেই এমপি শামীম ওসমানের সাথে দীর্ঘ আলোচনার রেফারেন্স দিয়ে নেতাকর্মীদের ভাল হয়ে যাওযার জন্যে ছবক দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেক আওয়ামীলীগ বিরোধী সমর্থককে করতালি দিতে দেখা গেলেও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নীরবে বক্তব্য শুনতে দেখা যায়।
একপর্যায়ে চেয়ারম্যান সেন্টু জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এমপি শামীম ওসমানকে পরামর্শ দিয়েছি এলাকার আওয়ামীলীগের অফিস উঠাইয়া দিমু। উনি যদি আমার কথা শুনে তবে ভাল, নাইলে ঐ অফিসই উনারে উঠাইয়া দিবে। আমার কোন সমস্যা নাই।
অপরদিকে সন্ধ্যায় বউবাজার এলাকায ইসলামিয়া বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সর্ম্বধনা
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে বলেন,এমপি শামীম ওসমান আমাকে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এমপি সাহেব আমাকে সরাসরি ঐ সকল অপরাধীদের সাথে বিরোধে জড়াতে মানা করে বলেছেন যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে তাদের তালিকা উনার কাছে জমা দিতে।
চেয়ারম্যান সেন্টুর প্রকাশ্য বক্তব্যে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, এমপি শামীম ওসমান যদি উনাকে এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েই থাকেন তাহলেতো তিনি গোপনে এ সকল তালিকা তেরী করে এমপি‘র কাছে জমা দিবেন। কিন্তু তিনি তা না করে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্যে এ সকল কথা বলে কি এমপি‘র সাথে উনার সম্পর্কের গভীরতা বুঝিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রেখে এলাকায় নিজ সিন্ডিকেটের প্রভাব বিস্তার করতে চান ? নাকি এমপি শামীম ওসমানের কাছের লোক পরিচয়ের আড়ালে নিজস্ব রাজনৈতিক বলয়কে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।