বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন স্বামী। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী তার নয় বছরের শিশু সন্তানসহ পলাতক রয়েছেন।
রোববার সকালে ফতুল্লার কাশিপুর হাজিপাড়াস্থ স্কুল গলির নিজ বাড়ি থেকে নিহতের রক্তাক্ত উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময়ে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী মোক্তার হোসেন বাসায় প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান। নিহত গৃহবধূ ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর স্কুল রোড সংলগ্ন আব্দুল আজিজের মেয়ে।
নিহতের ভাই সুমন জানান, বনিবনা না হওয়ায় ২০ বছর আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বোনের তালাক হয়ে যায়। ১৫ বছর আগে তার বোন মোক্তার হোসেনকে বিয়ে করেন। মোক্তার হোসেন প্রাইভেট গাড়ির চালক ছিলেন। তার বোনের আগের সংসারে একটি মেয়ে রয়েছে। সেই মেয়ের বিয়েও হয়েছে। বর্তমান সংসারে মাশরুল নামে একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
সুমন আরো জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তার বোন তাদের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। বেশ কয়েক মাস যাবৎ বনিবনা হচ্ছিলোনা বর্তমান স্বামী মোক্তার হোসেনের সঙ্গে। এর ফলে দুই মাস আগে মোক্তার হোসেন নয় বছর বয়সী মাশরুমকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। দেড় মাস আগে রাস্তায় একা পেয়ে তার বোনের গালে ছুরি দিয়ে পোঁচ দেন মোক্তার হোসেন। শনিবার রাতে তার বোন রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৮টার দিকে তার মা ডাকতে গেলে নিহতের রক্তাক্ত দেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি জানান, তার বোন জামাইয়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখতে পান ভাগনা মাশরুমকে নিয়ে মোক্তার হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। তার ধারণা রাতের কোনো এক সময়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা খুলে তার বোন জামাইসহ একাধিক খুনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তার বোনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।