বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে ফতুল্লায় আবারো সন্ত্রাসীদের সামেদ আলী ও মোতালিব বাহিনীর মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ হয়েছে। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর আকবরনগর ও প্রতাবনগর এলাকায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর তথ্যমতে, বক্তাবলীর আকবরনগর এলাকার সন্ত্রাসীর গডফাদার সামেদ আলী বাহিনী একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন এলাকার লোকদের কোনঠাসা করার অপচেষ্টা চালায়। বিশেষ করে তার ছেলে গনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালায়। মঙ্গলবার একটি হত্যা মামলার জের ধরে সামেদ আলী বাহিনী চর বক্তাবলীর জাকিরের বাড়িতে হামলা চালায়। এরই জের ধরে প্রতাবনগরের গডফাদার মোতালিব বাহিনীর নেতৃত্বে লোকজন সামেদ আলী বাহিনীর বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়। এবং বুধবার বিকেলে আকবরনগরে গিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দুই গ্রæপের মধ্যে টেঁটাবল্লম নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সামেদ আলী বাহিনীর সঙ্গে মোতালিব বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আকবরনগর ও প্রতাবনগর এলাকায় দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ টেঁটা যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে করে দুই পক্ষের ৫/৬ জন টেটাবিদ্ধসহ ১০ থেকে ১২ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।