বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও গ্যাস-বিদ্যুতসহ জ্বালানি তেলের দাম কমানো, জাতীয় নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ এবং ডিএনডি বাঁধের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে পদযাত্রা ও পথসভা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিটি পার্টি ‘সিপিবি’ ফতুল্লা থানা কমিটি। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় ইসদাইর বাজারে পথসভা ও পদযাত্রা শুরু করে কোতালের বাগ হক বাজার হয়ে পোস্ট অফিস রোড রেললাইন বটতলা গিয়ে শেষ করেছেন।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবি ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি রনজিত কুমার দাস,বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান তারিক চৌধুরী, এড. মন্টু ঘোষ, জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনাথ চক্রবর্তী, জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন, থানা কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা এম এ শাহীন প্রমূখ।
পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমূখী বাজার ও গ্যাস-বিদ্যুত, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ চরম সংকটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। গ্যাস-বিদ্যুত সংকটে জনজীবন আজ ভীষণভাবে বিপর্যস্ত। দৈনন্দিন জীবনের ব্যয় সীমাহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ তাঁদের আয়-ব্যয় সমন্বয় করতে পারছে না। দৈনিক আয় দিয়ে যেটুকু খাদ্য পণ্য সংগ্রহ করে তাও রান্না করে খাওয়ার উপায় নেই। সারাদিন চুলায় গ্যাস থাকে না। গভীর রাত পর্যন্ত গ্যাসের অপেক্ষায় চুলার পাশে বসে থাকতে হয়। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হয়েছে কিন্ত শ্রমিকের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। জনদুর্ভোগে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ বর্তমান সরকার ভোট ডাকাতি করে অনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। জনগণের প্রতি তাঁদের কোন দায় নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। দেশের জনগণকে বাঁচাতে গণবিরোধী এ সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে। জাতীয় নিম্নতম মজুরী ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা ও জ্বালানি তেলের দাম কমানোসহ নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। ডিএনডি বাঁধের অভ্যন্তরে নীচু এলাকা গুলো বছরের অধিকাংশ সময় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকে। যার ফলে পানি বন্দী লাখো মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগের মাঝে জীবন যাপন করে অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের কোন উদ্যোগ নেই। অবিলম্বে ডিএনডির জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকারের পায়ের তলার মাটি নেই। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। বিরোধীদলের সভা-সমাবেশে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালাচ্ছে। জনগণের কণ্ঠরোধ করতে সরকার নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে চলমান আন্দোলনে হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন করে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের এ দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের সরকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষকে একতাবদ্ধ হয়ে গণ’আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।