বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় একটি গ্রুপের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল ও টেঁটা নিক্ষেপ করে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ আহত হয়েছেন। আহদের মধ্যে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার সকালে ফতুল্লার বক্তাবলীর আকবর নগর এলাকায় সামেদ আলী বাহিনী ও শওকত আলী চেয়ারম্যানর সমর্থক জাকির বাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ সময় ১৫-১৬ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সামেদ আলী বাহিনী ও শওকত আলী চেয়ারম্যানর সমর্থক জাকির বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুটি গ্রুপের মাঝে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে সামেদ আলী বাহিনী পিছু হটে। কিন্তু জাকির বাহিনী একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় তারা পুলিশ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল ও টেঁটা নিক্ষেপ করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫-১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় দু’জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে আসবাবপত্র নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সামেদ আলী বাহিনীর সঙ্গে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সমর্থিত জাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বিকেল পর্যন্ত কোনো গ্রুপই এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে থানায় আসেনি। তবে পুলিশকে আঘাত করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।